ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা জানালেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি প্রস্তুতি নিলেও অংশ নেবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন সরকারের বার্তা জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মার্কিন সরকারের চিঠি জাতীয় পার্টিকে পৌছে দেন তিনি।

পরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ এসেছিলেন চিঠি নিয়ে। এটা তিনি পার্টির চেয়ারম্যানকে দিতে এসেছিলেন। উনি বললেন একই চিঠি আরও তিনটি দলকে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে। সেই চিঠির বিষয় হলো, আমেরিকা সরকার বাংলাদেশে একটি ফ্রি, ফেয়ার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। প্রায় ৪০ মিনিট আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ নিতে আমেরিকাকে অনুরোধ করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘আমরা মনে করি না আমেরিকাকে আমরা জানাব, তারা ব্যবস্থা নেবে। এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করাটা আমাদের দাবি, জনগণের দাবি। এটা নির্বাচন কমিশন করবে। আর এতে সরকার সহযোগিতা করবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের চেয়ারম্যান বারবার বলেছেন যে, একটি ফেয়ার ইলেকশনের অবস্থা যদি তৈরি হয়, অন্য দলগুলোও যদি আসে, তাহলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাওয়ার কথা চিন্তা করবে। আমরা কিন্তু এখনো বলিনি। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এতে যাব, কি যাব না, কোনোটাই কিন্তু আমরা এখনো বলিনি। কারণ, আমরা এখনো অপেক্ষা করছি যে সরকার ভোটের পরিবেশ তৈরি করবে।’

‘আমেরিকা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে। শুভাকাঙ্খি হিসেবে ফেয়ার ইলেকশন তারা চায়। এটা চাইতেই পারেন। কিন্তু এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। উনি একটাই কথা বলেছেন যে, তাদের সরকার চায় এখানে একটি ফেয়ার নির্বাচন হোক।’

নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন জেলার নেতারা আসবেন। নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা আমরা শুনব। তারপর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি কাজ করা আছে। নির্বাচনে যাব কি না, সেটা নির্ভর করবে দলীয় নেতা–কর্মীরা কি বলেন, সর্বোচ্চ ফোরাম কি বলে, আর নির্বাচনের পরিবেশটা আছে কি না, সেটার ওপর।’

সম্প্রতি শেষ হওয়া উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির অভিজ্ঞতা অত্যন্ত খারাপ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। এগুলোও আলোচনা হবে। এজন্যই তো সুষ্ঠু পরিবেশের কথা বলছি।’

চুন্নু বলেন, ‘সবশেষ যে দুটি উপনির্বাচন, তাতে আমাদের প্রার্থী পাস করবে এটা আশা করি নাই। কিন্তু সেখানেও কি সিল মারার দরকার ছিল। এর আগের গুলোতেও আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এজন্যই আমরা নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যদি আন্তরিকতা থাকে, যারা ক্ষমতায় তারা যদি চান তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নাই। আমি সংসদেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা জানালেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টি প্রস্তুতি নিলেও অংশ নেবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন সরকারের বার্তা জাতীয় পার্টির নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মার্কিন সরকারের চিঠি জাতীয় পার্টিকে পৌছে দেন তিনি।

পরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ এসেছিলেন চিঠি নিয়ে। এটা তিনি পার্টির চেয়ারম্যানকে দিতে এসেছিলেন। উনি বললেন একই চিঠি আরও তিনটি দলকে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে। সেই চিঠির বিষয় হলো, আমেরিকা সরকার বাংলাদেশে একটি ফ্রি, ফেয়ার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। প্রায় ৪০ মিনিট আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ নিতে আমেরিকাকে অনুরোধ করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘আমরা মনে করি না আমেরিকাকে আমরা জানাব, তারা ব্যবস্থা নেবে। এটা তো আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করাটা আমাদের দাবি, জনগণের দাবি। এটা নির্বাচন কমিশন করবে। আর এতে সরকার সহযোগিতা করবে।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের চেয়ারম্যান বারবার বলেছেন যে, একটি ফেয়ার ইলেকশনের অবস্থা যদি তৈরি হয়, অন্য দলগুলোও যদি আসে, তাহলে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে যাওয়ার কথা চিন্তা করবে। আমরা কিন্তু এখনো বলিনি। নির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু এতে যাব, কি যাব না, কোনোটাই কিন্তু আমরা এখনো বলিনি। কারণ, আমরা এখনো অপেক্ষা করছি যে সরকার ভোটের পরিবেশ তৈরি করবে।’

‘আমেরিকা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে। শুভাকাঙ্খি হিসেবে ফেয়ার ইলেকশন তারা চায়। এটা চাইতেই পারেন। কিন্তু এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। উনি একটাই কথা বলেছেন যে, তাদের সরকার চায় এখানে একটি ফেয়ার নির্বাচন হোক।’

নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, ‘আগামীকাল আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন জেলার নেতারা আসবেন। নির্বাচন নিয়ে তাদের কথা আমরা শুনব। তারপর সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাইমারি কাজ করা আছে। নির্বাচনে যাব কি না, সেটা নির্ভর করবে দলীয় নেতা–কর্মীরা কি বলেন, সর্বোচ্চ ফোরাম কি বলে, আর নির্বাচনের পরিবেশটা আছে কি না, সেটার ওপর।’

সম্প্রতি শেষ হওয়া উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির অভিজ্ঞতা অত্যন্ত খারাপ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনের অভিজ্ঞতা খুব খারাপ। এগুলোও আলোচনা হবে। এজন্যই তো সুষ্ঠু পরিবেশের কথা বলছি।’

চুন্নু বলেন, ‘সবশেষ যে দুটি উপনির্বাচন, তাতে আমাদের প্রার্থী পাস করবে এটা আশা করি নাই। কিন্তু সেখানেও কি সিল মারার দরকার ছিল। এর আগের গুলোতেও আমাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এজন্যই আমরা নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

সুষ্ঠু নির্বাচন চাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যদি আন্তরিকতা থাকে, যারা ক্ষমতায় তারা যদি চান তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নাই। আমি সংসদেও প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’