![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাত্র ৩ দিনের ভারী বৃষ্টিতে নওগাঁর ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত কোটি টাকার ফসল। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামীণ সড়ক ও বেড়িবাঁধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে জেলায় নদী খনন ও বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে নওগাঁয় বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে আত্রাই, রাণীনগর, মান্দা উপজেলা ২০টি গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ হয়ে পড়েন পানিবন্দী।
এই ৩ উপজেলায় বন্যায় আড়াইশ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ প্রায় ২ কিলোমিটার গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ফসল নষ্ট এবং বন্যার পানিতে প্রায় এক কোটি টাকার মাছ ভেসে যায়। বাঁধ সংস্কার তদারকির অভাবে প্রতি বছরই বন্যার সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং খননে নানা অনিয়মের অভিযোগ সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধিদের।
নওগাঁর সমাজকর্মী শফিকুর রহমান মামুন বলেন, ‘যারা নদী খননের কাজ পেয়ে থাকেন তারা নদী খননের চেয়ে বালু উত্তোলনে বেশি মনোযোগী। যেখানে বালু বিক্রি করা যাবে সেখানেই তারা খনন করেন।’
নওগাঁর আত্রাইয়ের ভোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘আমি বার বার বলেছিলাম খননের মাটি নিয়ে বাঁধে দিতে, এতে বাঁধ একটু শক্তপক্ত হতো কিন্তু আমার কথা কেউ শুনেনি।’
এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গন প্রবণ পয়েন্টে ব্লক দিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পশ্চিম জোন) জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলো আমাদের নজরে আছে, বাঁধের যে সব পয়েন্ট ভেঙে গেছে আমরা সেসব পয়েন্ট মেরামত করবো, এটাই আমাদের পরিকল্পনা।’
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় আনার পরিকল্পনা কৃষি অধিদপ্তরের রয়েছে, আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’
নিয়মিত নদী খনন ও বেড়িবাঁধ মেরামতের তাগিদ স্থানীয়দের।