সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ১ দফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের শেষ দিনেও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণ অধিকার পরিষদ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দেশ-বিদেশ সহিংস হিসেবে দেখাতে সরকারি দলের নেতা-কর্মী, এজেন্সীর লোকদের দিয়ে সরকার সহিংসতা করাচ্ছে। আপনারা গত দুটি নির্বাচনে জনগণের সাথে বেঈমানি করেছেন, প্রতারণা করেছেন। জনগণ আপনাদের বিশ্বাস করে না। অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন, পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
তফসিল প্রসঙ্গে নুর বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফশিল তফশিল নাটক করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। আপনারা তফসিল ঘোষণা করে বাসায় ফিরতে পারবেন না, আমরা জনগণকে নিয়ে রাজপথে প্রতিহত করবো।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের টানা ১৭৩ দিনের হরতালের ইতিহাস ভুলে যায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তারা সহিংস আন্দোলন করেছে, বাস- ট্রাক পুড়িয়েছে, রেললাইন তুলে ফেলেছে, অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। ২০০৬ সালে তারা লাশের উপর নৃত্য করেছে, ২০০৪ সালে গান পাউডার দিয়ে ১১ জন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর আজকে তারা বলে হরতাল- অবরোধ সহিংস কর্মসূচি।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম বলেন, ভোট আমাদের অধিকার, নিরাপদ জীবন আমাদের অধিকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা, খুন এবং গুম হতে হয়। মানুষের জীবনের আজ কোনো নিরাপত্তা নেই।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ আরো অনেকে মিছিলে অংশ নেন।