ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ করেছে একশটির বেশি স্থানীয় সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘নো টু এপেক জোট’। এসময় গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যা বন্ধের দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। সানফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রোববার (১২ নভেম্বর) এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর এপি
সানফ্রান্সিসকোয় গত শনিবার (১১ নভেম্বর) থেকে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলন শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগানে গণহত্যা বন্ধে এপেক নেতাদের আহ্বান জানান। বিক্ষোভকারীদের হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা এবং যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ফিলিস্তিন যুব আন্দোলনের একজন সংগঠক সুজান আলী বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য মার্কিন সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ্য, এ সপ্তাহের এপেক সম্মেলনে শত শত আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সহ ২০ হাজারের বেশি মানুষ সানফ্রান্সিসকোতে জড়ো হবেন। জানা যায়, বিক্ষোভকারীদের সংগঠন “নো টু এপেক জোট” বলেছে এপেকের মতো শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য চুক্তিগুলো শ্রমিক শোষণ ছাড়া আর কিছুই না৷
যদিও কঠোর নিরাপত্তার কারণে বিক্ষোভকারীরা, নেতাদের ধারে কাছেও ঘেষতে পারবে না। তবুও তাদের আন্দোলন বিশ্বনেতাদের জন্য একটি সতর্কতা বলে মনে করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো।
রোববার বিক্ষোভে ফিলিস্তিনের গণহত্যা, শ্রমিক সুরক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।
সানফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগের প্রধান বিল স্কট বলেছেন, আমরা বিক্ষোভ সম্পর্কে অবগত ও সতর্ক আছি। পুলিশ প্রধান আরও বলেন, জনগণ তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করবে, তবে কোন সহিংসতা সহ্য করা হবে না।
উল্লেখ্য, এপেক ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মেক্সিকো, ব্রাজিল এবং ফিলিপাইন সহ ২১টি দেশ এ সংগঠনের সদস্য।
জানা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার সম্মেলনের সাইড লাইনে নিজেদের মধ্যে বিশেষ এক মতবিনিময় করবেন বলে জানা যায়।