ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বুধবার থেকে সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে। তিন সপ্তাহ পর খুলতে শুরু করেছে সাভার ও গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা। তবে এখনও কয়েকটি কারখানা খোলা বাকি আছে। বুধবার সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা আগামীকাল (বুধবার) থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজে আসবেন তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।

এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা খোলার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানায় বিজিএমইএ। পোশাক কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংগঠনটি। সেই বিজ্ঞপ্তি থেকেই এসব তথ্য জানা যায়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে পুরোদমে শুরু হয় উৎপাদন। আবার কাজে ফিরতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছেন কর্মীরা। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাকশ্রমিকেরা। তাঁরা বলছেন, কারখানা খুলে দেওয়ায় খুশি। উৎপাদন শুরু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষও।

শিল্প পুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যালোচনা এবং কয়েকটি কারখানা এখনো বন্ধ থাকায় আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ২৩ অক্টোবর আন্দোলন শুরু করে পোশাকশ্রমিকেরা। গত ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে সরকার।

প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য একটি অংশের এই হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বুধবার থেকে সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে। তিন সপ্তাহ পর খুলতে শুরু করেছে সাভার ও গাজীপুরের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা। তবে এখনও কয়েকটি কারখানা খোলা বাকি আছে। বুধবার সব কারখানা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ হওয়া সব পোশাক কারখানা আগামীকাল (বুধবার) থেকে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কাজে আসবেন তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।

এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া মিরপুরের কিছু পোশাক কারখানা খোলার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানায় বিজিএমইএ। পোশাক কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি জানাতে মঙ্গলবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংগঠনটি। সেই বিজ্ঞপ্তি থেকেই এসব তথ্য জানা যায়।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার কারখানাগুলোতে পুরোদমে শুরু হয় উৎপাদন। আবার কাজে ফিরতে পেরে স্বস্তি জানিয়েছেন কর্মীরা। কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাকশ্রমিকেরা। তাঁরা বলছেন, কারখানা খুলে দেওয়ায় খুশি। উৎপাদন শুরু হওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষও।

শিল্প পুলিশ- ১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যালোচনা এবং কয়েকটি কারখানা এখনো বন্ধ থাকায় আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ২৩ অক্টোবর আন্দোলন শুরু করে পোশাকশ্রমিকেরা। গত ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করে সরকার।

প্রসঙ্গত, গত কিছুদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম বেতন বাড়ানোর যে ঘোষণা এসেছে, তাতে তারা সন্তুষ্ট নন। সরকার ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, শ্রমিকদের মধ্যে সামান্য একটি অংশের এই হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে যারা অভিজ্ঞ শ্রমিক তাদের বেতন বেড়েছে ২০-৩০ শতাংশ।