০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘হামাস স্টাইলে’ দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা করবেন কিম!

উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘হামাসের’ কৌশলে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গত রোববার সিউলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাথে এক বৈঠকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

গত মাসেও একই কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান কিম সিউং কিউম। পিয়ংইয়ং ভবিষ্যতে সিউলে হামলা চালালে হামাসের কৌশল অনুসরণ করতে পারে বলে জানান তিনিও।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস স্বল্পপাল্লার রকেটের ওপর নির্ভরশীল হলেও উত্তর কোরিয়ার রয়েছে দুরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের কামান। এ ছাড়া, হামাসের তুলনায় পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্রভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কার ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একে ‘চোরাগোপ্তা হামলা’ হিসেবে অভিহিত করছে দক্ষিণ কোরিয়া। গেরিলা স্টাইলের এই হামলাকে বলা যেতে পারে ‘হাইব্রিড’ সিস্টেম।

দক্ষিণ কোরিয়ার ২১ শতকের মিলিটারি স্টাডিস ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো রিউ সুং–ইয়েপ বলছেন, হামাসের মতো এমন হামলা কিম জং–উনের দেশ থেকেও হতে পারে। কেননা দেশটি আগে থেকেই এমন কৌশলে হামলা করতে পছন্দ করে। ইতিহাসও সেই কথাই বলে।

তবে হামাসের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে কিমের। যেখানে হামাস ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা করতে পারে, সেখানে এক ঘণ্টায় ১৬ হাজারের বেশি কামানের গোলা ছুড়তে পারে উত্তর কোরিয়া। আর তা প্রতিহত করতে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেটি ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতোই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আরও বেশ কয়েকটি শঙ্কাজনক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সুড়ঙ্গ বানানো। গাজায় মাটির নিচে হামাস যেমন সুড়ঙ্গ বানিয়েছে, উত্তর কোরিয়াও সীমান্ত এলাকায় এমন সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ শুরু করেছে। তাতে অস্ত্রও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

‘হামাস স্টাইলে’ দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা করবেন কিম!

আপডেট : ০৫:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘হামাসের’ কৌশলে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গত রোববার সিউলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সাথে এক বৈঠকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

গত মাসেও একই কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান কিম সিউং কিউম। পিয়ংইয়ং ভবিষ্যতে সিউলে হামলা চালালে হামাসের কৌশল অনুসরণ করতে পারে বলে জানান তিনিও।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস স্বল্পপাল্লার রকেটের ওপর নির্ভরশীল হলেও উত্তর কোরিয়ার রয়েছে দুরপাল্লার বিভিন্ন ধরনের কামান। এ ছাড়া, হামাসের তুলনায় পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্রভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার আশঙ্কার ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। একে ‘চোরাগোপ্তা হামলা’ হিসেবে অভিহিত করছে দক্ষিণ কোরিয়া। গেরিলা স্টাইলের এই হামলাকে বলা যেতে পারে ‘হাইব্রিড’ সিস্টেম।

দক্ষিণ কোরিয়ার ২১ শতকের মিলিটারি স্টাডিস ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ফেলো রিউ সুং–ইয়েপ বলছেন, হামাসের মতো এমন হামলা কিম জং–উনের দেশ থেকেও হতে পারে। কেননা দেশটি আগে থেকেই এমন কৌশলে হামলা করতে পছন্দ করে। ইতিহাসও সেই কথাই বলে।

তবে হামাসের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রয়েছে কিমের। যেখানে হামাস ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট হামলা করতে পারে, সেখানে এক ঘণ্টায় ১৬ হাজারের বেশি কামানের গোলা ছুড়তে পারে উত্তর কোরিয়া। আর তা প্রতিহত করতে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেটি ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতোই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে আরও বেশ কয়েকটি শঙ্কাজনক বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সুড়ঙ্গ বানানো। গাজায় মাটির নিচে হামাস যেমন সুড়ঙ্গ বানিয়েছে, উত্তর কোরিয়াও সীমান্ত এলাকায় এমন সুড়ঙ্গ বানানোর কাজ শুরু করেছে। তাতে অস্ত্রও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।