১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজা উপত্যকায় গণকবরে ১৭৯ ফিলিস্তিনিকে দাফন

হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও পাশের রাস্তায় পড়ে আছে লাশ। একটি–দুটি নয়, শতাধিক। দাফনের কেউ নেই। একের পর এক পড়ছে বোমা, আসছে গুলি আর কামান। এর মধ্যে দাফন করবে কে? এবার তাই সবাইকে গণকবর দিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গাজা উপত্যকার বন্ধ হয়ে যাওয়া আল–শিফা হাসপাতালে এক সঙ্গে ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছে।

আল–শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে পড়ে আছে লাশ। কেননা মর্গে এখন বিদ্যুৎ নেই। এ কারণে সবাইকে গণকবর দিতে বাধ্য হয়েছি।’

ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পানি জমে যায়। এমনিতেই এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করা কঠিন। তার ওপর পানি জমায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়েন গাজাবাসী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতালগুলো। সেইসঙ্গে সর্বাত্মক অবরোধে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎহীন প্রায় সব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের দ্বারপ্রান্তে। এমন পরিস্থিতির মাঝে জন্ম নেওয়া অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নবজাতকদের ফয়েল পেপারে রাখা হচ্ছে।

নির্ধারিত সময়ে আগে কিংবা অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের সাধারণত ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎহীন গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় হাসপাতালগুলোর জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইনকিউবেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

গাজা উপত্যকায় গণকবরে ১৭৯ ফিলিস্তিনিকে দাফন

আপডেট : ০৫:৩৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও পাশের রাস্তায় পড়ে আছে লাশ। একটি–দুটি নয়, শতাধিক। দাফনের কেউ নেই। একের পর এক পড়ছে বোমা, আসছে গুলি আর কামান। এর মধ্যে দাফন করবে কে? এবার তাই সবাইকে গণকবর দিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গাজা উপত্যকার বন্ধ হয়ে যাওয়া আল–শিফা হাসপাতালে এক সঙ্গে ১৭৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছে।

আল–শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের সামনে পড়ে আছে লাশ। কেননা মর্গে এখন বিদ্যুৎ নেই। এ কারণে সবাইকে গণকবর দিতে বাধ্য হয়েছি।’

ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পানি জমে যায়। এমনিতেই এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করা কঠিন। তার ওপর পানি জমায় মানবেতর পরিস্থিতিতে পড়েন গাজাবাসী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাসপাতালগুলো। সেইসঙ্গে সর্বাত্মক অবরোধে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎহীন প্রায় সব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের দ্বারপ্রান্তে। এমন পরিস্থিতির মাঝে জন্ম নেওয়া অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ইনকিউবেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নবজাতকদের ফয়েল পেপারে রাখা হচ্ছে।

নির্ধারিত সময়ে আগে কিংবা অপরিণত বয়সে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের সাধারণত ইনকিউবেটরে রাখতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎহীন গাজায় জ্বালানি ঢুকতে না দেওয়ায় হাসপাতালগুলোর জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ইনকিউবেটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।