ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজার হাসপাতালে হামলার জন্য বাইডেন দায়ী: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী বলে অভিযোগ করেছে হামাস। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস এ অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণ দায়ী। আল শিফা হাসপাতালকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা দাবি হাসপাতালটির ওপর ইসরায়েল বাহিনীকে গণহত্যা চালাতে সুবজ সংকেত দিয়েছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ ভোরে ট্যাংক নিয়ে আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নির্বিচারে অভিযান চালাচ্ছে তারা। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্য ও অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে আল শিফা হাসপাতালের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালানো হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ডো সেন্টার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি দাবিকে সমর্থন করে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র।

তবে হাসপাতালটির ওপর অপেক্ষাকৃত কম অভিযান চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটিকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে ২২টিতেই সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির অভাব, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও অনিরাপত্তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় বর্তমানে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। কিন্তু এসব হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ২০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটি দাবি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজার হাসপাতালে হামলার জন্য বাইডেন দায়ী: হামাস

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী বলে অভিযোগ করেছে হামাস। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস এ অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পূর্ণ দায়ী। আল শিফা হাসপাতালকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রের এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা দাবি হাসপাতালটির ওপর ইসরায়েল বাহিনীকে গণহত্যা চালাতে সুবজ সংকেত দিয়েছে।

এদিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, আজ ভোরে ট্যাংক নিয়ে আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে নির্বিচারে অভিযান চালাচ্ছে তারা। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ রয়েছে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্য ও অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে আল শিফা হাসপাতালের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি অভিযান চালানো হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ডো সেন্টার গুঁড়িয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি দাবিকে সমর্থন করে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র।

তবে হাসপাতালটির ওপর অপেক্ষাকৃত কম অভিযান চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, হাসপাতালটিকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে ২২টিতেই সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির অভাব, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও অনিরাপত্তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় বর্তমানে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। কিন্তু এসব হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ২০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটি দাবি করেছে।