ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জুজুর ভয় সরকার পায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচনে ঘিরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার উদ্বেগকে জুজুর ভয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এমন উদ্বেগ ভিত্তিহীন, জুজুর ভয় সরকার পায় না। আমেরিকায় কেউ সংলাপ নিয়ে আলোচনা করে না। দেশের মানুষ কি বলে সেটাই মূল কথা।’

নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যেই ঘোষণা হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টি সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা করা হলে তা দেশের রাজনীতিকে জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া।

দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘ কোন কথা বলে না, সংস্থাটি তার গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের যেই বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানিয়ে তারা আসলে ঘুমাচ্ছেন। জাতিসংঘের দ্বিমুখী অবস্থান গ্রহনযোগ্য নয়। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা বাঁধা দেবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন আগেই ধারনা দিয়েছে, ভোট হতে পারে জানুয়ারির প্রথমার্ধে।

নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দুই দলকে সংলাপে আনতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আমেরিকা সরকার।

অবশ্য সংলাপের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। বুধবার সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মার্কিন সরকারের চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। পরে কাদের সাংবাদিকদের জানান, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।’

এদিকে বিএনপি বলে আসছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের অনেককেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা–কর্মীরা।

আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুজুর ভয় সরকার পায় না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

নির্বাচনে ঘিরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার উদ্বেগকে জুজুর ভয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এমন উদ্বেগ ভিত্তিহীন, জুজুর ভয় সরকার পায় না। আমেরিকায় কেউ সংলাপ নিয়ে আলোচনা করে না। দেশের মানুষ কি বলে সেটাই মূল কথা।’

নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের মধ্যেই ঘোষণা হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টি সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা করা হলে তা দেশের রাজনীতিকে জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া।

দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘ কোন কথা বলে না, সংস্থাটি তার গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের যেই বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানিয়ে তারা আসলে ঘুমাচ্ছেন। জাতিসংঘের দ্বিমুখী অবস্থান গ্রহনযোগ্য নয়। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা বাঁধা দেবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচন কমিশন আগেই ধারনা দিয়েছে, ভোট হতে পারে জানুয়ারির প্রথমার্ধে।

নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দুই দলকে সংলাপে আনতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে আমেরিকা সরকার।

অবশ্য সংলাপের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে। বুধবার সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মার্কিন সরকারের চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। পরে কাদের সাংবাদিকদের জানান, এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।’

এদিকে বিএনপি বলে আসছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের অনেককেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা–কর্মীরা।

আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে।