ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস পরিচালিত পার্লামেন্ট ভবন ও আরও বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন দখলের দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তবে এ ব্যাপারে হামাসের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী বলেছে, হামাসের পার্লামেন্ট ভবন, পুলিশ সদর দপ্তর এবং একটি প্রকৌশল ভবন দখল করা হয়েছে। এসব ভবন হামাস যোদ্ধারা অস্ত্র উৎপাদন ও মজুতের কাজে ব্যবহার করছিল। গাজার অভ্যন্তরে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের অভিযান আরও বাড়াবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রায় দেড় দশক আগে গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে হামাস। তখন থেকেই পার্লামেন্ট ভবনটি তাদের দখলে ছিল। গতকাল তীব্র লড়াইয়ের পর ভবনটি দখল করে নেয় ইসরায়েল বাহিনী।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ বুধবার সকালে ট্যাংক নিয়ে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এর আগে হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানায় ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাসের সদস্যরা গাজা শহরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে লুকিয়ে আছে, তাই তারা এই অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে গাজার হাসপাতাগুলো ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে হামাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় অবস্থিত ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে ২২টিতেই সেবা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। জ্বালানির অভাব, ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও অনিরাপত্তায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজায় বর্তমানে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। কিন্তু এসব হাসপাতালে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ১১ হাজার ২০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটি দাবি করেছে।