জনগণ সরকারের ফরমায়েসি নির্বাচনী তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে; তারা এই ষড়যন্ত্রমূলক ও গণবিরোধী তফসিল বাতিল এবং কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ফরমায়েসি তফসিল বাতিল করে ফ্যাসীবাদী সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তরা আজমপুর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিবুল্লাহ ও জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মাজহারুল ইসলাম এবং ছাত্রনেতা সালাহউদ্দীন প্রমুখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সহায়ক শক্তি ছিলো না; এখনো নয়। তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে নগ্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অতীতে তারা দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র বেশিদিন স্থায়ি হয়নি। কিন্তু তাদের মাথা থেকে এখনো বাকশালী ভ‚ত নেমে যায়নি। তারা দেশে অঘোষিতভাবে আবারো বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সে ধারাবাহিকতায় গণবিরোধী ও ফ্যাসীবাদী সরকার তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য বশংবদ নির্বাচন কমিশন দিয়ে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে। কিন্তু বীর জনতা তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনোই সফল ও স্বার্থক হতে দেবে না। তিনি হঠকারিতা পরিহার করে অবিলম্বে ফরমায়েসী তফসিল বাতিল করার আহবান জানান। অন্যথায় জনগণ সরকার ও দলদাস নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যুগপৎ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। চলমান বিরোধী দলীয় আন্দোলন নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে দমনের জন্য সারাদেশেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। জনতার ওপর লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। একশ্রেণির অতিউৎসাহী ও দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী ক্যাডারের ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সর্বোপরি দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে গোটা দেশেই এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু এসব করে মাফিয়া সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ছেড়ে কথা বলবে না। তিনি সরকারকে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে গণদাবি মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শরীক হওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় তাদের জন্য করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।