১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেন্ডুলকারের দুটি বিশ্বরেকর্ডই এখন কোহলির

শচীন টেন্ডুলকার তাঁকে শুভকামনা জানিয়ে বলেছিলেন, টেন্ডুলকারের ৪৯ থেকে ৫০-এ যেতে ৩৬৫ দিন লেগেছিল, কোহলির যাতে ৪৯ থেকে ৫০-এ যেতে বেশি সময় না লাগে। টেন্ডুলকারের ৪৯ থেকে ৫০-এর হিসাবটা ছিল বয়সের, কোহলির ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির।

গত ৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলকাতায় নিজের জন্মদিনে ওয়ানডেতে ৪৯তম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন কোহলি। ছুঁয়েছিলেন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। সেদিনই টেন্ডুলকার টুইটে ওই শুভকামনা জানিয়েছিলেন। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরিটা আর করা হয়নি। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে কোহলি সে অপেক্ষা ঘুচিয়ে ফেললেন কোহলি।

টেন্ডুলকারের ‘ঘর’ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ ৪২তম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে দুই রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেছেন কোহলি। ৮ চার ১ ছক্কায় ১০৬ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেলেন কোহলি। হয়ে গেল ওয়ানডেতে বিশ্বরেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরির উদ্‌যাপনটাও হলো কী সুন্দর! দুই হাত ওপরে তুলে এক মুহূর্তের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেন কোহলি, যেন নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না কী অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। যখন বিশ্বাস হলো, প্রথমেই দিলেন ‘গুরুদক্ষিণা’ – যাঁকে আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন, সেই টেন্ডুলকারেরই অতিমানবীয় রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পর কুর্নিশ জানালেন গ্যালারিতে থাকা টেন্ডুলকারকেই। স্বপ্নটা দেখতে তো তিনিই শিখিয়েছেন!

গ্যালারিতে ডেভিড বেকহ্যামের পাশে টেন্ডুলকার তখন আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন। করতালি তো গ্যালারিজুড়েই চলছে, টেন্ডুলকারও তাতে সঙ্গী। পাশেই গ্যালারির আরেকদিক থেকে কোহলির দিক থেকে ছুটে গেল উড়ন্ত চুমু – স্ত্রী আনুশকা শর্মার উপহার।

রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির পথেই অবশ্য টেন্ডুলকারের আরেক রেকর্ডও আগেই ভাঙা হয়ে গেছে কোহলির। এক বিশ্বকাপে এতদিন সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা ছিল টেন্ডুলকারেরই, ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩। আজ সে রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রান করেছেন, তাতে এই বিশ্বকাপে ৭১১ রান হয়ে গেল কোহলির।

সেঞ্চুরি করার কিছুক্ষণ পরই আউট হয়ে গেছেন কোহলি, সাউদির বলে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে তাঁর ১১৩ বলে ১১৭ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। যে ইনিংসে পথচলা একেবারে মসৃণ ছিল না। ৩৮তম ওভারে ক্র্যাম্প হয়েছে, সেঞ্চুরির পরপরই একবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচেছেন। চার-ছয়ের চেয়েও এই বিশ্বকাপে নিজের ভূমিকা মেনে সিঙ্গেলস-ডাবলসেই রান নিয়েছেন বেশি।

হয়তো তাতে ইনিংসটা আরও পূর্ণতাই পেয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে, অতিমানবীয় রেকর্ড গড়া এই কোহলি মানুষই।

টেন্ডুলকারের দুটি বিশ্বরেকর্ডই এখন কোহলির

আপডেট : ০১:৪০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

শচীন টেন্ডুলকার তাঁকে শুভকামনা জানিয়ে বলেছিলেন, টেন্ডুলকারের ৪৯ থেকে ৫০-এ যেতে ৩৬৫ দিন লেগেছিল, কোহলির যাতে ৪৯ থেকে ৫০-এ যেতে বেশি সময় না লাগে। টেন্ডুলকারের ৪৯ থেকে ৫০-এর হিসাবটা ছিল বয়সের, কোহলির ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির।

গত ৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কলকাতায় নিজের জন্মদিনে ওয়ানডেতে ৪৯তম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন কোহলি। ছুঁয়েছিলেন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। সেদিনই টেন্ডুলকার টুইটে ওই শুভকামনা জানিয়েছিলেন। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরিটা আর করা হয়নি। আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে কোহলি সে অপেক্ষা ঘুচিয়ে ফেললেন কোহলি।

টেন্ডুলকারের ‘ঘর’ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ ৪২তম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে দুই রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেছেন কোহলি। ৮ চার ১ ছক্কায় ১০৬ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেলেন কোহলি। হয়ে গেল ওয়ানডেতে বিশ্বরেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরির উদ্‌যাপনটাও হলো কী সুন্দর! দুই হাত ওপরে তুলে এক মুহূর্তের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেন কোহলি, যেন নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না কী অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ে ফেলেছেন। যখন বিশ্বাস হলো, প্রথমেই দিলেন ‘গুরুদক্ষিণা’ – যাঁকে আদর্শ মেনে বড় হয়েছেন, সেই টেন্ডুলকারেরই অতিমানবীয় রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পর কুর্নিশ জানালেন গ্যালারিতে থাকা টেন্ডুলকারকেই। স্বপ্নটা দেখতে তো তিনিই শিখিয়েছেন!

গ্যালারিতে ডেভিড বেকহ্যামের পাশে টেন্ডুলকার তখন আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন। করতালি তো গ্যালারিজুড়েই চলছে, টেন্ডুলকারও তাতে সঙ্গী। পাশেই গ্যালারির আরেকদিক থেকে কোহলির দিক থেকে ছুটে গেল উড়ন্ত চুমু – স্ত্রী আনুশকা শর্মার উপহার।

রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরির পথেই অবশ্য টেন্ডুলকারের আরেক রেকর্ডও আগেই ভাঙা হয়ে গেছে কোহলির। এক বিশ্বকাপে এতদিন সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা ছিল টেন্ডুলকারেরই, ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩। আজ সে রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ১১৭ রান করেছেন, তাতে এই বিশ্বকাপে ৭১১ রান হয়ে গেল কোহলির।

সেঞ্চুরি করার কিছুক্ষণ পরই আউট হয়ে গেছেন কোহলি, সাউদির বলে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে তাঁর ১১৩ বলে ১১৭ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। যে ইনিংসে পথচলা একেবারে মসৃণ ছিল না। ৩৮তম ওভারে ক্র্যাম্প হয়েছে, সেঞ্চুরির পরপরই একবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচেছেন। চার-ছয়ের চেয়েও এই বিশ্বকাপে নিজের ভূমিকা মেনে সিঙ্গেলস-ডাবলসেই রান নিয়েছেন বেশি।

হয়তো তাতে ইনিংসটা আরও পূর্ণতাই পেয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে, অতিমানবীয় রেকর্ড গড়া এই কোহলি মানুষই।