বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (এইচআরসি)। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এইচআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ন্যায্য মজুরি দাবি করা শ্রমিক এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চলছে। এ ছাড়া সাংবাদিক, মানবাধিকার রক্ষাকারী ও সুশীল সমাজের নেতাদের বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনকারী আইন সংস্কারে ব্যর্থতা গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সহিংসতা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া বিক্ষোভ-আন্দোলন দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি, ভয় দেখানো এবং বেআইনিভাবে আটক রাখার অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব নিয়ে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে সংবাদমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা, নজরদারি, ভয় দেখানো এবং বিচারিক হয়রানির কারণে এ মাধ্যমে ব্যাপক স্ব-সেন্সরশিপ ছড়িয়ে পড়েছে।
সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় উদ্বেগ জানিয়েছে এইচআরসি। সংস্থাটির মতে, এমন ঘটনা মৌলিক মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করে। সেই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকেও খর্ব করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের এই পর্যালোচনা বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ। বাংলাদেশ কেবল মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে না, মানবাধিকার রক্ষা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
তারা আরও বলেছেন, ‘আমরা মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।’ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।
এইচআরসি আরও জানিয়েছে, মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাবনতি–সংক্রান্ত এসব উদ্বেগের বিষয়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।