Dhaka ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আল-শিফা হাসপাতালে অস্ত্র পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের বিপুল অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার হাসপাতালে অভিযানের পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ওই ভিডিওতে এমন দাবি করা হয়।

আল জাজিরা জানায়, হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ এবং গোলাবারুদ রয়েছে এমন সন্দেহে কয়েকদিন ধরে আল-শিফা হাসপাতাল ঘিরে রাখে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল বুধবার সেখানে অভিযান চালায়। ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাসপাতাল ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে সেনারা। এরপর সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধের বর্ম উদ্ধারের দাবি করা হয়।

হাসপাতালের ভেতরে ঢুকেই ইসরায়েলি সেনারা সবখানে হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে থাকে। বিশেষ করে গোপন সুড়ঙ্গ আছে কিনা তার সন্ধান করতে থাকে। যদিও হাসপাতালে কোনো গোপন সুড়ঙ্গ বা হামাসের কোনো যোদ্ধার সন্ধান পায়নি আইডিএফ। হাসপাতালের বেসমেন্টে ব্যাপক তল্লাশি চালায় সেনারা। অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের অনেককে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে জেরা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ট্যাংক নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আল–শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছিল আইডিএফ। গাজার বৃহত্তম এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক রোগী ছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া ৭ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। গতকাল ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে ঢুকে পড়লে সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হাসপাতাল থেকে রোগী ও সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস যোদ্ধারা। যদিও ইসরায়েলের এসব দাবি নাকচ করেছে হামাস।

এদিকে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধে জরুরি এবং বর্ধিত মানবিক বিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে ইসরায়েল।

আল-শিফা হাসপাতালে অস্ত্র পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

আপডেট : ০৬:২৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের বিপুল অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার হাসপাতালে অভিযানের পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ওই ভিডিওতে এমন দাবি করা হয়।

আল জাজিরা জানায়, হামাস যোদ্ধাদের গোপন সুড়ঙ্গ এবং গোলাবারুদ রয়েছে এমন সন্দেহে কয়েকদিন ধরে আল-শিফা হাসপাতাল ঘিরে রাখে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল বুধবার সেখানে অভিযান চালায়। ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে হাসপাতাল ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে সেনারা। এরপর সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও যুদ্ধের বর্ম উদ্ধারের দাবি করা হয়।

হাসপাতালের ভেতরে ঢুকেই ইসরায়েলি সেনারা সবখানে হামাস যোদ্ধাদের খুঁজতে থাকে। বিশেষ করে গোপন সুড়ঙ্গ আছে কিনা তার সন্ধান করতে থাকে। যদিও হাসপাতালে কোনো গোপন সুড়ঙ্গ বা হামাসের কোনো যোদ্ধার সন্ধান পায়নি আইডিএফ। হাসপাতালের বেসমেন্টে ব্যাপক তল্লাশি চালায় সেনারা। অনেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের অনেককে চোখ বেঁধে বিবস্ত্র করে জেরা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

ট্যাংক নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আল–শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখেছিল আইডিএফ। গাজার বৃহত্তম এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিপুলসংখ্যক রোগী ছাড়াও ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া ৭ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। গতকাল ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে ঢুকে পড়লে সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, হাসপাতাল থেকে রোগী ও সাধারণ মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস যোদ্ধারা। যদিও ইসরায়েলের এসব দাবি নাকচ করেছে হামাস।

এদিকে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধে জরুরি এবং বর্ধিত মানবিক বিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে ইসরায়েল।