ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুল্যুশন গৃহীত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে বুধবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এবারের রেজুল্যুশনটিতে ১১৪টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে যা এযাবৎ সর্বোচ্চ। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে এ বছরের রেজুল্যুশনে। ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদারতা এবং মানবিক সহায়তার ভূয়শী প্রশংসা করা হয়েছে এতে।

ভাসান চর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে। মিয়ানমারের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণসমূহ উদ্ঘাটন করতে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এতে নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত ২৬৬৯ রেজুল্যুশনকে স্বাগত জানায়, যাতে পরিষদের সদস্যগণ মিয়ানমারে সব ধরনের সহিংসতার অবিলম্বে অবসানের দাবি জানায়। এতে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তজার্তিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

সর্বোপরি, ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় যাতে জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের রেজুল্যুশনে।

রেজুল্যুশনটি গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এবং খুব সীমিত সম্পদ রয়েছে। আমাদের ভূখণ্ডে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কোন সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার সরকারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের পূর্ব পর্যন্ত, তিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বাংলাদেশে অস্থায়ী ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুল্যুশন গৃহীত

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে বুধবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি এবং ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এবারের রেজুল্যুশনটিতে ১১৪টি দেশ সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে যা এযাবৎ সর্বোচ্চ। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উঠে এসেছে এ বছরের রেজুল্যুশনে। ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদারতা এবং মানবিক সহায়তার ভূয়শী প্রশংসা করা হয়েছে এতে।

ভাসান চর প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়েছে। মিয়ানমারের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণসমূহ উদ্ঘাটন করতে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

এতে নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি গৃহীত ২৬৬৯ রেজুল্যুশনকে স্বাগত জানায়, যাতে পরিষদের সদস্যগণ মিয়ানমারে সব ধরনের সহিংসতার অবিলম্বে অবসানের দাবি জানায়। এতে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্যের দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি এবং আন্তজার্তিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশনের তদন্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

সর্বোপরি, ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় যাতে জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহ বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে এবারের রেজুল্যুশনে।

রেজুল্যুশনটি গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ যেখানে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এবং খুব সীমিত সম্পদ রয়েছে। আমাদের ভূখণ্ডে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির কোন সুযোগ নেই। তাদের অবশ্যই তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বপ্রণোদিত, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমার সরকারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের পূর্ব পর্যন্ত, তিনি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বাংলাদেশে অস্থায়ী ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাসস