এখন থেকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। কাউকে নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও অনুমতি লাগবে।
তফসিল ঘোষণার পর আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আজ থেকে বদলি ও নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকে ইসির অনুমতি নিতে হবে। আরপিওতে সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে- জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
মো. জাহাংগীর আলম জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। আর নির্বাচনের তিন-চারদিন আগে জেলা পর্যায়ে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। তবে ভোটের মাঠে ব্যালট পেপার কখন যাবে এ বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ইসি সচিব। এ সময় নির্বাচনী বিধি মোতাবেক মন্ত্রী-এমপিরা আগের মতো কাজ করতে পারবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে, ইসি সচিব স্পষ্টভাবে কোনো জবাব দেননি।
তফসিল ঘোষণার পর থেকে নিয়োগ বদলি ও রাজনৈতিক চাপ অনুভব করছেন কি না— জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, আরপিওতে সুস্পষ্ট বলা আছে নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের কোন কোন বিষয়গুলো পূর্ব অনুমোদন করতে হবে। সেখানে বলা আছে জেলা প্রশাসক, ডিএমপি কমিশনার ও তাদের অধস্তন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিও -এর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের কাজে সহায়তা দেওয়া নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনও কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পরে তাকে অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবে।
এছাড়া আরপিও -এর ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।