Dhaka ০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবর্তন নেই বাজার দরে

পরিবর্তন নেই বাজার দরে। শীতের আগাম সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও দাম কমার সুখবর নেই। তবে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে বেড়েছে মসুর ডালের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছের বাজারও কিছুটা চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা স্বস্তি এসেছে আলু আর পেঁয়াজের দামে। আগের মতোই চড়া শাক সবজি ও মাছের বাজার। অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, ডিম, লেয়ার-কক মুরগি, হাঁস এবং গরু ও খাসির মাংসের দাম।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও মুদিপণ্যের পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

সরেজমিনে কাঁচা বাজারে সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ৫০-৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙ্গা, করোলা, চিচিঙ্গা ৭০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আপাতত কমদামি সবজি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, মুলা ও আলু। বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ১২৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা এবং ১১৫ টাকা। এংকর ডাল ৬৮ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, ডাবলি ৬৮ টাকা, খোলা চিনিগুড়া চাল ১৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০-৬৮ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকা, মোটা চাল ৫৪ টাকা, গুঁড়াদুধ ৭৮০ টাকা, তেল ১৭০ লিটার, ৫ কেজির বোতল রূপচাঁদা ৮০০ টাকা, পামঅয়েল ১৩৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকেই সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম চড়া।

বনলতা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আরিফ রব্বানী বলেন, আজকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতা কম। শুক্রবার ছুটির দিন হিসেবে সকাল থেকে যে পরিমাণ মানুষ আসতো আজ তেমনটি নেই। বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বেড়েছে। এখন শীতের সবজি বড় হওয়ার সময়। এই বৃষ্টি থাকলে সেগুলো নষ্ট হবে। আর অবরোধের কারণে পরিবহন খরচতো বেড়েছেই।

এদিকে নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৫০-২৭০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২০০-৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৯০০, ১২০০ ও ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট কাচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতি-কেজি বড় সাইজের সুরমা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৫০০-৮০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজি আকারের ইলিশের কেজি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাছের দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। ব্রয়লারের কেজি ২১০-২২০ টাকা থেকে কমে দাম হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকায়। কক মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা কেজি এবং হাঁস ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাশির মাংসের দামও। লাল ডিম ৫০ টাকা, সাদা ডিম ৪৮ টাকা, হাঁসের ডিম ৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাশির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেরাদিয়া হাটের মুরগি বিক্রেতা শামসুল হক বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকার বেশি দরে ব্রয়লার বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছে। পাকিস্তানি কক এবং সোনালি মুরগী আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

পরিবর্তন নেই বাজার দরে

আপডেট : ০৭:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

পরিবর্তন নেই বাজার দরে। শীতের আগাম সবজিতে বাজার ভরপুর হলেও দাম কমার সুখবর নেই। তবে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে বেড়েছে মসুর ডালের দাম। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছের বাজারও কিছুটা চড়া। বিক্রেতারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা স্বস্তি এসেছে আলু আর পেঁয়াজের দামে। আগের মতোই চড়া শাক সবজি ও মাছের বাজার। অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, ডিম, লেয়ার-কক মুরগি, হাঁস এবং গরু ও খাসির মাংসের দাম।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও মুদিপণ্যের পাইকারি ও খুচরা দোকান ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পাওয়া যাচ্ছে, তা হলো পেঁপে। প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

সরেজমিনে কাঁচা বাজারে সবজির দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ৫০-৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙ্গা, করোলা, চিচিঙ্গা ৭০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আপাতত কমদামি সবজি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, মুলা ও আলু। বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে পটল, করলা, শসা, ঢেঁড়স, ঝিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজি গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল, ইন্ডিয়ান মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ১২৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা এবং ১১৫ টাকা। এংকর ডাল ৬৮ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, ডাবলি ৬৮ টাকা, খোলা চিনিগুড়া চাল ১৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০-৬৮ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকা, মোটা চাল ৫৪ টাকা, গুঁড়াদুধ ৭৮০ টাকা, তেল ১৭০ লিটার, ৫ কেজির বোতল রূপচাঁদা ৮০০ টাকা, পামঅয়েল ১৩৫ কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকেই সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার প্রভাবে খুচরা বাজারেও দাম চড়া।

বনলতা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আরিফ রব্বানী বলেন, আজকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতা কম। শুক্রবার ছুটির দিন হিসেবে সকাল থেকে যে পরিমাণ মানুষ আসতো আজ তেমনটি নেই। বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বেড়েছে। এখন শীতের সবজি বড় হওয়ার সময়। এই বৃষ্টি থাকলে সেগুলো নষ্ট হবে। আর অবরোধের কারণে পরিবহন খরচতো বেড়েছেই।

এদিকে নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৫০-২৭০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২০০-৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা ও শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৯০০, ১২০০ ও ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট কাচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতি-কেজি বড় সাইজের সুরমা মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, রূপচাঁদা আকারভেদে ৫০০-৮০০ টাকা, লাল কোরাল ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজি আকারের ইলিশের কেজি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাছের দামের বিষয়ে মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকার বাজারগুলোতে মাছ কম আসছে। পরিবহন সংকটে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। এ কারণে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে।

মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। ব্রয়লারের কেজি ২১০-২২০ টাকা থেকে কমে দাম হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকায়। কক মুরগি ৩৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, লেয়ার ৩৬০ টাকা কেজি এবং হাঁস ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, গরু ও খাশির মাংসের দামও। লাল ডিম ৫০ টাকা, সাদা ডিম ৪৮ টাকা, হাঁসের ডিম ৮০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাশির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেরাদিয়া হাটের মুরগি বিক্রেতা শামসুল হক বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে। গত সপ্তাহে ২০০ টাকার বেশি দরে ব্রয়লার বিক্রি করলেও এ সপ্তাহে ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছে। পাকিস্তানি কক এবং সোনালি মুরগী আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।