ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঝুম বৃষ্টি ঘুমে শান্তি এনে দিলেও সকালে কর্মমুখী মানুষদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে। সাপ্তাহিক ছুটি হলেও সড়কে কর্মজীবীদের উপস্থিতি দেখা গেছে তুলনামূলক বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সারাদেশে বৃষ্টির অনুপাত সমান নয়। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে হালকা শীতল বাতাসও বইছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দমকা হাওয়ায় সতর্কবার্তা দিচ্ছে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার।
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।’
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৭) বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়, তাহলে নাম হবে ‘মিধিলি’। মিধিলি নামটি মালদ্বীপের দেওয়া। আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এর তীব্রতা খুব বেশি হবে না। অল্পসময়ের মধ্যে লঘুচাপ, লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।