ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে টানা বৃষ্টি, লঞ্চ চলাচল বন্ধ

বরিশাল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সব লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে হচ্ছে টানা বৃষ্টি।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বরিশালের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রাও।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৯) বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ অতিক্রম শুরু করতে পারে। পরে ঝড়ের কেন্দ্র সন্ধ্যার দিকে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করবে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে বরিশাল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ও বিভিন্ন স্পটে দুটি করে লাল সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকে টানা মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিপাতের ফলে শহরে মানুষের চলাচল কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বের হচ্ছননা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বরিশালে টানা বৃষ্টি, লঞ্চ চলাচল বন্ধ

আপডেট সময় : ০৭:০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সব লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে হচ্ছে টানা বৃষ্টি।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বরিশালের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কমেছে তাপমাত্রাও।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৯) বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ অতিক্রম শুরু করতে পারে। পরে ঝড়ের কেন্দ্র সন্ধ্যার দিকে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করবে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এ জন্য পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে বরিশাল ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, বরিশালের কীর্তনখোলা নদী ও বিভিন্ন স্পটে দুটি করে লাল সংকেত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

শুক্রবার ভোর থেকে টানা মাঝারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বৃষ্টিপাতের ফলে শহরে মানুষের চলাচল কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বের হচ্ছননা।