Dhaka ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আল-শিফা হাসপাতালের আইসিইউতে বেঁচে নেই

ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

আবু সালমিয়া বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনো রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবর হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতি মুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আল-শিফা হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।

এদিকে গাজার দক্ষিণেও হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান চলবে। এমনকি, গাজার দক্ষিণেও যাবো আমরা। এ অভিযান তখনই শুরু হবে যখন আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় আসবে।

আল-শিফা হাসপাতালের আইসিইউতে বেঁচে নেই

আপডেট : ১০:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

আবু সালমিয়া বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনো রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবর হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতি মুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আল-শিফা হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।

এদিকে গাজার দক্ষিণেও হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান চলবে। এমনকি, গাজার দক্ষিণেও যাবো আমরা। এ অভিযান তখনই শুরু হবে যখন আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় আসবে।