০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর তীব্র সংঘর্ষ

লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লেবাননের শিয়াপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্য গুলি বিনিময়ে ঘটনা ঘটেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়ের কাছে একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

লেবাননের রাষ্ট্র-চালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ২০০৬ সালে লেবাননে যুদ্ধের পর এই প্রথম নাবাতিহ অঞ্চলটি ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু হলো।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আজ সকালে হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে সাসা ও শুতুলার বসতির দিকে প্রায় ২০টি রকেট ছুড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হিজবুল্লাহ বলেছে যে তারা শনিবার ভোরে সীমান্তের কাছে একটি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলি ড্রোন লক্ষ্য করে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।

হিজবুল্লাহ শনিবারে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক সাইট এবং সেনাদের আঘাত করেছে এবং এত বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে।

লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে আজ সকালে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন বলেছেন, ‘ গাজায় হামলা বন্ধ না করলে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’

হাশেম সাফিউদ্দীন আরও বলেন, ‘যতদিন ইসরায়েল গাজার নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালাবে ততদিন আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করবো।’

ইসরায়েল–হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লার সঙ্গেও উত্তেজনা দেখা দেয় ইসরায়েলের। এর মধ্য ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলায় জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। ইসরায়েলের হামলায় হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, গির্জা— কিছুই বাদ যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর তীব্র সংঘর্ষ

আপডেট : ০৪:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

লেবাননের সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লেবাননের শিয়াপন্থী মিলিশিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্য গুলি বিনিময়ে ঘটনা ঘটেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়ের কাছে একটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

লেবাননের রাষ্ট্র-চালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি অনুসারে, ২০০৬ সালে লেবাননে যুদ্ধের পর এই প্রথম নাবাতিহ অঞ্চলটি ইসরাইলের হামলার লক্ষ্যবস্তু হলো।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আজ সকালে হিজবুল্লাহ লেবানন থেকে সাসা ও শুতুলার বসতির দিকে প্রায় ২০টি রকেট ছুড়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হিজবুল্লাহ বলেছে যে তারা শনিবার ভোরে সীমান্তের কাছে একটি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলি ড্রোন লক্ষ্য করে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।

হিজবুল্লাহ শনিবারে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক সাইট এবং সেনাদের আঘাত করেছে এবং এত বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে।

লেবাননের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে আজ সকালে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন বলেছেন, ‘ গাজায় হামলা বন্ধ না করলে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’

হাশেম সাফিউদ্দীন আরও বলেন, ‘যতদিন ইসরায়েল গাজার নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালাবে ততদিন আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করবো।’

ইসরায়েল–হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লার সঙ্গেও উত্তেজনা দেখা দেয় ইসরায়েলের। এর মধ্য ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলায় জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। ইসরায়েলের হামলায় হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, গির্জা— কিছুই বাদ যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।