০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে : রিজভী

অধিকার আদায়ে জনগণ রাজপথে নেমে দুর্বার আন্দোলনে গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে। আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে সরকারের পতন হবে। আপনারা (সরকার) যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। নির্বাচন স্থগিত করে আগে পদত্যাগ করুন। এই ফরমায়েশি তফসিলে বাংলাদেশে একতরফা কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে।’

সারা দেশে আটকবাণিজ্য চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলার দৃশ্যপট অভিন্ন। গায়েবি মামলা গ্রেপ্তার নিয়ে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও সরকার নিজেকে রক্ষা করতে এই অপকর্মে বেপরোয়া। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তারবাণিজ্যের তাণ্ডবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এখন গ্রাম-গঞ্জ ছাড়া, মফস্বল জনপদে কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারছে না। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম করতে পারছে না। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অসংখ্য পরিবারকে। পুলিশের এখন পৌষ মাস, আর জাতির সর্বনাশ।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল অকপটে স্বীকার করেছেন—অস্ত্র হাতে ও রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তিনি ক্ষমতার সিংহাসন দখল করে রেখেছেন। তাই তিনি তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বলেছেন, ‘অস্ত্র হাতে না, রাতের অন্ধকারে না, বাংলাদেশে সরকার গঠন হবে ভোটের মধ্য দিয়েই।’ কথায় বলে–ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্যকে কখনও ধামাচাপা দেওয়া যায় না। সত্য কোনো না কোনোভাবে প্রকাশিত হয়ই।…সুতরাং তার এই স্বীকারোক্তির পর এই মুহূর্তে ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তার আর ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে : রিজভী

আপডেট : ০৩:১৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

অধিকার আদায়ে জনগণ রাজপথে নেমে দুর্বার আন্দোলনে গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে। আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিলে সরকারের পতন হবে। আপনারা (সরকার) যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। নির্বাচন স্থগিত করে আগে পদত্যাগ করুন। এই ফরমায়েশি তফসিলে বাংলাদেশে একতরফা কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করবে।’

সারা দেশে আটকবাণিজ্য চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলার দৃশ্যপট অভিন্ন। গায়েবি মামলা গ্রেপ্তার নিয়ে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও সরকার নিজেকে রক্ষা করতে এই অপকর্মে বেপরোয়া। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তারবাণিজ্যের তাণ্ডবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এখন গ্রাম-গঞ্জ ছাড়া, মফস্বল জনপদে কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারছে না। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম করতে পারছে না। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে অসংখ্য পরিবারকে। পুলিশের এখন পৌষ মাস, আর জাতির সর্বনাশ।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল অকপটে স্বীকার করেছেন—অস্ত্র হাতে ও রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তিনি ক্ষমতার সিংহাসন দখল করে রেখেছেন। তাই তিনি তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বলেছেন, ‘অস্ত্র হাতে না, রাতের অন্ধকারে না, বাংলাদেশে সরকার গঠন হবে ভোটের মধ্য দিয়েই।’ কথায় বলে–ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্যকে কখনও ধামাচাপা দেওয়া যায় না। সত্য কোনো না কোনোভাবে প্রকাশিত হয়ই।…সুতরাং তার এই স্বীকারোক্তির পর এই মুহূর্তে ভোটারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। তার আর ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”