জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ২০০
- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৭ বার পড়া হয়েছে
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাতিসংঘ পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ওই স্কুলে হামলা চালায়।
গাজা থেকে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি ইমাদ জাকৌত বলেন, উত্তর গাজার বৃহত্তম শরণার্থী শিবির জাবালিয়ার আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
আলজাজিরার এক প্রতিনিধি তারেক আবু আজজুম বলেন, ‘‘সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে আছে এবং মেডিকেল টিমের সদস্যরা আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’ তিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইসরায়েলের স্থল হামলার মাঝে অনেক ফিলিস্তিনি নিরাপত্তার জন্য ইন্দোনেশিয়ার ফিল্ড হাসপাতালের পাশের ওই স্কুলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে অনেকেই আগের ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন। তারা সহিংসতা থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখন এই শরণার্থীদের গাজা উপত্যকার দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বার্তা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বসবাস রয়েছে বলে দাবি করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও ওই অঞ্চলের দেশগুলোর নিন্দা সত্ত্বেও শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
যুদ্ধের আগেও আল-ফাখুরা স্কুলে কয়েকবার হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর আগে, ২০০৯, ২০১৪ এবং চলতি বছরের শুরুর দিকেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্কুলটিতে হামলা চালায়। হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্কুলে হামলা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এই উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।