১০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৬০ বিলিয়ন

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লাগাম কিছুতেই টানা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে হিসাব করলে যার পরিমান দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা বা আইএমএফের বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) ম্যাথডের ভিত্তিতে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সেই রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। যদিও ১৫ দিন আগে অর্থাৎ ১ নভেম্বর এই রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে আইএমএফের বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন (১১৮ কোটি) ডলার। আর একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন (১২৫ কোটি) ডলার।

অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ৮ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ১৫ নভেম্বর এটি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৭ দিনের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

গত ৬ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর ফলে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ জুলাই থেকে বিপিএম-৬ নিয়মে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৩৫৬ কোটি) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এটি কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১১৬ কোটি ডলার। অবশ্য প্রকৃত নেট রিজার্ভ এখন ১৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নিচে বলে জানা গেছে। প্রকৃত রিজার্ভের এই তথ্য কেবল আইএমএফকে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ৮৯৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বা প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি ডলার।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে ২৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৩ শতাংশ কম।

নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এতে দৈনিক আসছে ৭ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে আমদানির দায় পরিশোধ করাকে কেন্দ্র করে এখনও ডলারের বাজারে অস্থিরতা রয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলো এখনও ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা অব্যাহত রেখেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৬০ বিলিয়ন

আপডেট : ১০:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লাগাম কিছুতেই টানা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে হিসাব করলে যার পরিমান দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা বা আইএমএফের বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) ম্যাথডের ভিত্তিতে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সেই রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। যদিও ১৫ দিন আগে অর্থাৎ ১ নভেম্বর এই রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে গত এক সপ্তাহে আইএমএফের বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন (১১৮ কোটি) ডলার। আর একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন (১২৫ কোটি) ডলার।

অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ৮ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ১৫ নভেম্বর এটি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ৭ দিনের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।

গত ৬ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১২১ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর ফলে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ জুলাই থেকে বিপিএম-৬ নিয়মে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বিপিএম-৬ অনুযায়ী, দেশে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৩৫৬ কোটি) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এটি কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১১৬ কোটি ডলার। অবশ্য প্রকৃত নেট রিজার্ভ এখন ১৭ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের নিচে বলে জানা গেছে। প্রকৃত রিজার্ভের এই তথ্য কেবল আইএমএফকে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ৮৯৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বা প্রায় ৯০০ কোটি ডলার। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৪২৩ কোটি ডলার।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর সময়ে ২৫৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৩ শতাংশ কম।

নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এতে দৈনিক আসছে ৭ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে আমদানির দায় পরিশোধ করাকে কেন্দ্র করে এখনও ডলারের বাজারে অস্থিরতা রয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলো এখনও ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা অব্যাহত রেখেছে।