বিএনপি ও বিরোধী রাজনৈতিক জোটের কার্যালয়গুলোকে অবরুদ্ধ রেখে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচনি সার্কাস খেলা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন জোটের নেতারা।
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘জনগণ গত ১৫ বছরের প্রতিশোধ নিতে অবৈধ তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী আরেকটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন করতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়েছে।’
নেতারা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যদি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেওয়ার আগ্রহ দেখাতেন, তাহলে সরকার দলীয় কার্যালয়ে ভোটের আমেজ, আর বিএনপিসহ বিরোধী দলের কার্যালয়গুলোকে এতিমখানা বানিয়ে রাখতেন না। তালা ঝুলিয়ে দিতেন না। শীর্ষ নেতাদেরকে গণগ্রেপ্তার করতেন না। সুতরাং, শিয়ালের কাছে মুরগি আর আওয়ামী লীগের কাছে সুষ্ঠু ভোট আশা করা যায় না।’
জোটের নেতারা বলেন, ‘বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জিত ও নিন্দিত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই। জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আরেকটি ভুয়া নির্বাচন করার পরিণতি ভালো হবে না।’
সমাবেশ বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান, লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান্নান আহমেদ খান বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভূইয়া পিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, ইসলামী ঐক্যজোট যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরীফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, পাঠাগার সম্পাদ মো. মিলন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ছাত্র সমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনানসহ আরও অনেকে।