০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় আরেক স্কুলে হামলা, ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ

২৪ ঘণ্টা না যেতেই গাজায় জাতিসংঘের আরেক স্কুলে ইসরাইলের হামলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি লঙ্ঘিত হচ্ছে না যুদ্ধ আইন।

গাজা উপত্যকায় আরও একটি স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার জাতিসংঘের পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এরআগে শুক্রবারের গাজা নগরীর দক্ষিণাঞ্চলীয় জেইতুন এলাকার আল ফালাহ বিদ্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০০ জন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের দু’টি স্কুলে ইসরাইলের বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে অনেকে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগের আশঙ্কা, ২০০ ছাড়াতে পারে হতাহতের সংখ্যা। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ফিলিস্তিন শাখা। যথেষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে; অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

গাজার খান ইউনিসে দু’টি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে বিমান হামলায় হত্যা করা হয় অন্তত ২৬ জনকে। ভিডিও প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী-ইসলামিক জিহাদের অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনা সদর।

কার্যকর পদক্ষেপে অব্যাহত বর্বরতা অবিলম্বে বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আরও একটি স্কুলে হামলায় হতাহত মানুষের ভয়ঙ্কর ছবি এবং ভিডিও চিত্র তারা দেখেছেন। এমন নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

যুদ্ধ আইন মানা হচ্ছে দাবি করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার পশ্চিমাঞ্চল শিক্ষা পেয়েছে। এবার সময় পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের। এদিকে, রোববার থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে বর্বর অভিযানের বিস্তৃতি ঘটানোর নোটিশে বহু মানুষ পরিবার-পরিজনসহ এলাকা ছাড়লেও চরম পরিণতির শঙ্কা মাথায় নিয়ে থেকে গেছেন অনেকে।

আল শিফা হাসপাতালকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করে ইসরাইলের বর্বর অভিযানে মারা গেছেন আইসিইউতে থাকা অর্ধশতাধিক রোগী।

গাজায় আরেক স্কুলে হামলা, ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ

আপডেট : ০৭:১৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

২৪ ঘণ্টা না যেতেই গাজায় জাতিসংঘের আরেক স্কুলে ইসরাইলের হামলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি লঙ্ঘিত হচ্ছে না যুদ্ধ আইন।

গাজা উপত্যকায় আরও একটি স্কুলে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার জাতিসংঘের পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটি এখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এরআগে শুক্রবারের গাজা নগরীর দক্ষিণাঞ্চলীয় জেইতুন এলাকার আল ফালাহ বিদ্যালয়ে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০০ জন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ২৪ ঘণ্টায় উত্তর গাজার জাবালিয়ায় জাতিসংঘের দু’টি স্কুলে ইসরাইলের বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে অনেকে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগের আশঙ্কা, ২০০ ছাড়াতে পারে হতাহতের সংখ্যা। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ফিলিস্তিন শাখা। যথেষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে; অবিলম্বে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

গাজার খান ইউনিসে দু’টি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে বিমান হামলায় হত্যা করা হয় অন্তত ২৬ জনকে। ভিডিও প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী-ইসলামিক জিহাদের অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনা সদর।

কার্যকর পদক্ষেপে অব্যাহত বর্বরতা অবিলম্বে বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ্পি লাজ্জারিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত আরও একটি স্কুলে হামলায় হতাহত মানুষের ভয়ঙ্কর ছবি এবং ভিডিও চিত্র তারা দেখেছেন। এমন নির্মম হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

যুদ্ধ আইন মানা হচ্ছে দাবি করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজার পশ্চিমাঞ্চল শিক্ষা পেয়েছে। এবার সময় পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের। এদিকে, রোববার থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে বর্বর অভিযানের বিস্তৃতি ঘটানোর নোটিশে বহু মানুষ পরিবার-পরিজনসহ এলাকা ছাড়লেও চরম পরিণতির শঙ্কা মাথায় নিয়ে থেকে গেছেন অনেকে।

আল শিফা হাসপাতালকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাসপাতালটি অবরুদ্ধ করে ইসরাইলের বর্বর অভিযানে মারা গেছেন আইসিইউতে থাকা অর্ধশতাধিক রোগী।