১০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করলেন ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ৫ উপদেষ্টা

টেকনোক্র্যাট কোটার ২ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের এই পদত্যাগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি নির্ভযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র‌্যাট ক্রাট মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে বিকেলে এক বৈঠকে টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, ‘যে সরকার র‌য়ে‌ছে সেই সরকা‌রই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। ত‌বে এখানে কোনো টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও উপ‌দেষ্টা থাকতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৮ জন। ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনের পদত্যাগের ফলে তা কমে ৪৫-এ দাঁড়াল। ২০১৮ সালেও নির্বাচনের আগে সরকারের অনির্বাচিত মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছিলেন।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রীএবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার কাটছাট করা হবে না বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত, কানাডা, ইংল্যান্ডে যেভাবে হয় সেভাবে হবে। আরপিও ডিক্লেয়ার করার পর মন্ত্রীরা কোনো সুযোগ ব্যবহার করতে পারবে না। প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে হবে। ২০১৮ তেও তাই হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে।’

এ সময় নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেও ইঙ্গিত দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আকার ছোট করলে অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয়না। উন্নয়ন যাতে অব্যাহত থাকে সেটাই প্রচেষ্টা। উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় তাই যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

পদত্যাগ করলেন ৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ৫ উপদেষ্টা

আপডেট : ০৫:২৫:১৮ অপরাহ্ন, রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

টেকনোক্র্যাট কোটার ২ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের এই পদত্যাগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি নির্ভযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র‌্যাট ক্রাট মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে বিকেলে এক বৈঠকে টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন না বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি জানান, ‘যে সরকার র‌য়ে‌ছে সেই সরকা‌রই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। ত‌বে এখানে কোনো টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও উপ‌দেষ্টা থাকতে পারবে না।’

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৮ জন। ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনের পদত্যাগের ফলে তা কমে ৪৫-এ দাঁড়াল। ২০১৮ সালেও নির্বাচনের আগে সরকারের অনির্বাচিত মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছিলেন।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রীএবার নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার আকার কাটছাট করা হবে না বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৩১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত, কানাডা, ইংল্যান্ডে যেভাবে হয় সেভাবে হবে। আরপিও ডিক্লেয়ার করার পর মন্ত্রীরা কোনো সুযোগ ব্যবহার করতে পারবে না। প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে হবে। ২০১৮ তেও তাই হয়েছিল। নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হলে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে।’

এ সময় নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেও ইঙ্গিত দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আকার ছোট করলে অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয়না। উন্নয়ন যাতে অব্যাহত থাকে সেটাই প্রচেষ্টা। উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্থ না হয় তাই যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।’