০৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজা–পশ্চিম তীরের শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনের হাতে থাকা উচিত: বাইডেন

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর শেষ পর্যন্ত গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরের শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জো বাইডেনের লেখা নিবন্ধটি গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপা হয়। সেই নিবন্ধে তিনি লেখেন, যেহেতু আমরা ফিলিস্তিনে শান্তি আনার চেষ্টা করছি, সেহেতু গাজা ও পশ্চিম তীরকে শাসন করার ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা উচিত। কারণ আমরা সবাই একটি দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে কাজ করছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা চলবে না, কোনো পুনর্দখল হবে না, কোনো অবরোধ হবে না এবং কোনো ভূখণ্ড হ্রাস করা যাবে না।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ থামার পর আমেরিকা কী চায়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য বাইডেন এই নিবন্ধটি লিখেছেন। তিনি এর আগে অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে গাজার ‘সামগ্রিক সামরিক দায়িত্ব’ ইসরায়েলের হাতে থাকা উচিত।

ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধে বাইডেন আরও লিখেছেন, পশ্চিম তীরের বেসামরিক লোকদের ওপর হামলাকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিত তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়েছে—এমন তথ্য উল্লেখ করে বাইডেন লিখেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চরমপন্থী সহিংসতা বন্ধ করতে ইসরায়েলি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যারা সহিংসতা করছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।

পশ্চিম তীরে অন্তত ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। এদের সঙ্গে রয়েছে অন্তত ৫ লাখ ইহুদী বসতিস্থাপনকারী। গত দেড় বছর ধরে ইহুদি বসতিস্থাপনকারী ও ফিলিনস্থিনিদের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘাত চললেও গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এই এলাকায় সহিংসতা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। ইসরায়েলের হামলায় হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, গির্জা— কিছুই বাদ যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।

গাজা–পশ্চিম তীরের শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনের হাতে থাকা উচিত: বাইডেন

আপডেট : ০৭:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর শেষ পর্যন্ত গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরের শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জো বাইডেনের লেখা নিবন্ধটি গতকাল শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপা হয়। সেই নিবন্ধে তিনি লেখেন, যেহেতু আমরা ফিলিস্তিনে শান্তি আনার চেষ্টা করছি, সেহেতু গাজা ও পশ্চিম তীরকে শাসন করার ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা উচিত। কারণ আমরা সবাই একটি দ্বি–রাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে কাজ করছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা চলবে না, কোনো পুনর্দখল হবে না, কোনো অবরোধ হবে না এবং কোনো ভূখণ্ড হ্রাস করা যাবে না।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ থামার পর আমেরিকা কী চায়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য বাইডেন এই নিবন্ধটি লিখেছেন। তিনি এর আগে অবশ্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, অদূর ভবিষ্যতে গাজার ‘সামগ্রিক সামরিক দায়িত্ব’ ইসরায়েলের হাতে থাকা উচিত।

ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধে বাইডেন আরও লিখেছেন, পশ্চিম তীরের বেসামরিক লোকদের ওপর হামলাকারী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে আমেরিকা প্রস্তুত রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিত তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়েছে—এমন তথ্য উল্লেখ করে বাইডেন লিখেছেন, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চরমপন্থী সহিংসতা বন্ধ করতে ইসরায়েলি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যারা সহিংসতা করছে তাদের অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে।

পশ্চিম তীরে অন্তত ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। এদের সঙ্গে রয়েছে অন্তত ৫ লাখ ইহুদী বসতিস্থাপনকারী। গত দেড় বছর ধরে ইহুদি বসতিস্থাপনকারী ও ফিলিনস্থিনিদের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘাত চললেও গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এই এলাকায় সহিংসতা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। ইসরায়েলের হামলায় হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, গির্জা— কিছুই বাদ যাচ্ছে না। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৩২ হাজার মানুষ।