০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘দেশকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে’

বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯শে নভেম্বর) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সরকার প্রধান।

২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী । এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিগত ৬ দশক ধরে ফিকি বাংলাদেশের ২১টি খাত জুড়ে ৩৫টি দেশের ২০০টিরও বেশি সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করি, তখন থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল বেসরকারি খাতকে আরও উজ্জীবিত করা। তাদের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং বিদেশি বিনিয়োগ যাতে আসে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা বেসরকারি খাতকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আসার বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিই। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস উত্তোলন থেকে শুরু করে সার্বিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আকর্ষণ করার প্রচেষ্টা চালাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন একটি বড় অভ্যন্তরীণ বাজার। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগত অবস্থান, উচ্চ মুনাফা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা আরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই। আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করি।’

পরে রেডিসন ব্লু হোটেলে বিনিয়োগ মেলা ঘুরে দেখেন সরকার প্রধান। মেলায় ৪০টি স্টল রয়েছে। উদ্দেশ্য দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা। দুদিনব্যাপী এই মেলা সোমবার পর্যন্ত সকলের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে। ফিকির আয়োজনটির কৌশলগত অংশীদার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

‘দেশকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে’

আপডেট : ০৭:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯শে নভেম্বর) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বিনিয়োগ মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সরকার প্রধান।

২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী । এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বিগত ৬ দশক ধরে ফিকি বাংলাদেশের ২১টি খাত জুড়ে ৩৫টি দেশের ২০০টিরও বেশি সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা যখন ৯৬ সালে সরকার গঠন করি, তখন থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা ছিল বেসরকারি খাতকে আরও উজ্জীবিত করা। তাদের জন্য সব কিছু উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং বিদেশি বিনিয়োগ যাতে আসে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি বলেন, ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা বেসরকারি খাতকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ আসার বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিই। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গ্যাস উত্তোলন থেকে শুরু করে সার্বিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আকর্ষণ করার প্রচেষ্টা চালাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন একটি বড় অভ্যন্তরীণ বাজার। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তখন যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত উন্নয়ন কর্মসূচি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগত অবস্থান, উচ্চ মুনাফা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা আরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই। আমরা আমাদের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করি।’

পরে রেডিসন ব্লু হোটেলে বিনিয়োগ মেলা ঘুরে দেখেন সরকার প্রধান। মেলায় ৪০টি স্টল রয়েছে। উদ্দেশ্য দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশীয় শিল্পে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা। দুদিনব্যাপী এই মেলা সোমবার পর্যন্ত সকলের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে। ফিকির আয়োজনটির কৌশলগত অংশীদার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বিডা।