ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মানুষ পুড়িয়ে কোন কিছু অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৪০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে কোন কিছু অর্জন করা যায় না। কোন কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের সমর্থন ও শক্তি লাগে। এসময় তিনি অগ্নিসন্ত্রাসীদের চেতনা ফিরে আসবে বলেও প্রত্যাশা করেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনী আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন পাকিস্থানীরা যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতো দুর্ভাগ্য স্বাধীন দেশে সেভাবেই অগ্নি সন্ত্রাসীরা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে।

তিনি বলেন রাজনীতি মানুষের কল্যানের জন্য মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা ধরে রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একজন মানুষ কীভাবে আরেকটা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে, তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। আর মানুষ বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারত। দুঃখের বিষয় এরপর ২০১৩-১৪ সালে এবং এখন ইদানিং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। পোড়া মানুষগুলোর ক্ষত-বিক্ষত দেহ এবং তাদের আত্মচিৎকার ও পরিবারগুলো কি অবস্থাটায় আছে।

তিনি বলেন, আমি চাই তাদের (অগ্নিসন্ত্রাসী) চেতনা হোক যে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির দরকার হয়, তাদের পাশে থাকতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে, তাদের পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না- অন্তত এই বিষয়টা যেন যারা এগুলো করছে তারা বুঝতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণটাও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকে সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-অসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।

‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করা, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানা দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। আগে বিদেশে যেতে হলে করাচিতে গিয়ে ভিসা নিতে হতো। আর এখন আমাদের স্বাধীন দেশে, আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশে নয়, বিদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন, তাদের আমি স্মরণ করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মানুষ পুড়িয়ে কোন কিছু অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে কোন কিছু অর্জন করা যায় না। কোন কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের সমর্থন ও শক্তি লাগে। এসময় তিনি অগ্নিসন্ত্রাসীদের চেতনা ফিরে আসবে বলেও প্রত্যাশা করেন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে সেনাবাহিনী আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন পাকিস্থানীরা যেভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতো দুর্ভাগ্য স্বাধীন দেশে সেভাবেই অগ্নি সন্ত্রাসীরা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে।

তিনি বলেন রাজনীতি মানুষের কল্যানের জন্য মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার কাজ করছে সরকার। নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা ধরে রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একজন মানুষ কীভাবে আরেকটা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এমনটি দেখেছিলাম ৭১ সালে, তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বস্তিতে আগুন দিতো। আর মানুষ বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারত। দুঃখের বিষয় এরপর ২০১৩-১৪ সালে এবং এখন ইদানিং সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। পোড়া মানুষগুলোর ক্ষত-বিক্ষত দেহ এবং তাদের আত্মচিৎকার ও পরিবারগুলো কি অবস্থাটায় আছে।

তিনি বলেন, আমি চাই তাদের (অগ্নিসন্ত্রাসী) চেতনা হোক যে, মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তির দরকার হয়, তাদের পাশে থাকতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে, তাদের পুড়িয়ে মেরে কিছু অর্জন করা যায় না- অন্তত এই বিষয়টা যেন যারা এগুলো করছে তারা বুঝতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানটাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণটাও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকে সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-অসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।

‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করা, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে তোলা এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানা দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। আগে বিদেশে যেতে হলে করাচিতে গিয়ে ভিসা নিতে হতো। আর এখন আমাদের স্বাধীন দেশে, আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশে নয়, বিদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন, তাদের আমি স্মরণ করি।