Dhaka ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে আজ মঙ্গলবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।

শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর চৌকস দল তাঁদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর।

এর আগে, শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে দিবসটিকে ঘিরে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্ব গাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।

বাণীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দিবসটিকে ঘিরে নেওয়া সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় একাত্তরের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আপডেট : ০৬:২১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে আজ মঙ্গলবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।

শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর চৌকস দল তাঁদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর।

এর আগে, শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানরা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে দিবসটিকে ঘিরে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্ব গাঁথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।

বাণীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দিবসটিকে ঘিরে নেওয়া সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তারা।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় একাত্তরের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।