০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানকে বিমান প্রতিরক্ষার প্রস্তাব দেবে ওয়াগনার: যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বলেছে, রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠী দুই মার্কিন প্রতিপক্ষ লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের বা তেহরানের সরকারকে একটি ‘অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ অংশ হিসেবে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে ওয়াগনার রাশিয়ান সরকারের নির্দেশে হিজবুল্লাহ বা ইরানকে একটি বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই মাসের শুরুতে বলেছিল ওয়াগনার রাশিয়ান স্ব-চালিত বিমান বিধ্বংসী কামান প্যান্টসির-এস ১ এবং এসএ-২২ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

ক্রেমলিননের অর্থায়নে পরিচালিত ওয়াগনার জুনে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের পরে লাইনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বিদ্রোহ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের দুই দশকের শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সৃষ্টি করেছিল।

কিরবি বলেন, যারা এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সমরাস্ত্র স্থানান্তর করবে ‘আমরা অবশ্যই রাশিয়ান সেই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছি।’

তিনি বলেন, ইরান ‘এই সমর্থনের বিনিময়ে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে এখন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে।’
মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক করে আসছে। একটি ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক যা কিরবি ‘সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিকারক ইরানের প্রতিবেশীদের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বেশ খোলামেলাভাবে ক্ষতিকারক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই চোইগো সেপ্টেম্বরে ইরানে সরকারি সফর করেছেন, যা মিত্রদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার অধীন এবং এই দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করছে।

ইরানকে বিমান প্রতিরক্ষার প্রস্তাব দেবে ওয়াগনার: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০৮:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বলেছে, রাশিয়ার ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠী দুই মার্কিন প্রতিপক্ষ লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের বা তেহরানের সরকারকে একটি ‘অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ অংশ হিসেবে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে ওয়াগনার রাশিয়ান সরকারের নির্দেশে হিজবুল্লাহ বা ইরানকে একটি বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এই মাসের শুরুতে বলেছিল ওয়াগনার রাশিয়ান স্ব-চালিত বিমান বিধ্বংসী কামান প্যান্টসির-এস ১ এবং এসএ-২২ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

ক্রেমলিননের অর্থায়নে পরিচালিত ওয়াগনার জুনে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের পরে লাইনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বিদ্রোহ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের দুই দশকের শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি সৃষ্টি করেছিল।

কিরবি বলেন, যারা এই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সমরাস্ত্র স্থানান্তর করবে ‘আমরা অবশ্যই রাশিয়ান সেই ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী নিষেধাজ্ঞা কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছি।’

তিনি বলেন, ইরান ‘এই সমর্থনের বিনিময়ে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে এখন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে।’
মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক করে আসছে। একটি ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক যা কিরবি ‘সুস্পষ্টভাবে ইউক্রেনের জন্য ক্ষতিকারক ইরানের প্রতিবেশীদের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বেশ খোলামেলাভাবে ক্ষতিকারক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই চোইগো সেপ্টেম্বরে ইরানে সরকারি সফর করেছেন, যা মিত্রদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার অধীন এবং এই দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করছে।