বর্তমান বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বাড়লেও উল্টো চিত্র গরুর মাংসের বাজারে। গত এক মাসে গরুর মাংসের দাম কমেছে ব্যাপক হারে। চাহিদা কমে যাওয়ায় এক মাসের ব্যবধানে রাজধানীতে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে কেজিতে ২০০ টাকা কমে। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আরও কমবে।
রাজধানীর লালবাগ, নয়াবাজার, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। পলাশী ও হাতিরপুলে মিলছে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কমায় বিক্রিও বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ।
মাংস কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন. ‘এভাবে যদি সরকার আরেকটু সাপোর্ট দিত তাহলে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিগুলো মাংস কিনে খেতে পারত। আমাদের জন্য এখন এটা অনেক সহনীয় বর্তমান বাজারে।’
কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম উঠেছিলো আটশ টাকার ওপরে। এতে কমেছে চাহিদা, ফলে বিক্রিও কমে যায়। বাধ্য হয়ে কম লাভেই মাংস বিক্রি হচ্ছে রাজধানীতে।
অন্যদিকে, শীতের সময় বিয়ে, পিকনিকের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান বাড়ে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় এবার তেমন আয়োজন নেই। পাশাপাশি দেশের খামারে উৎপাদন ভালো হওয়ায় কমেছে গরুর মাংসের দাম।
ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ‘মাংসের দাম এখন একটু কমে এসেছে। একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় কোনো কোনো দোকানে ৫৫০ টাকা বিক্রি করছে, কোথাও ৬০০ টাকায় বিক্রি করছে। আবার কেউ ৭০০ টাকাও বিক্রি করছে। এই ভারসাম্যহীনতাকে ভারসাম্যে আনার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি যে আপনারা একটা দাম নির্ধারণ করে দেন। যাতে প্রত্যেকটা এলাকার লোক এই সুবিধাটা ভোগ করতে পারে।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে গরু ও খাশির মাংসের চাহিদা ৭৬ লাখ টন। বিপরীতে উৎপাদন ৮৭ লাখ টন।