ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু বৃহস্পতিবার

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামীকাল শুরু হচ্ছে হামাস- ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। কাতারের মধ্যস্থতায় জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪ দিনের এ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের সশস্ত সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো সদস্য মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় সকল অঞ্চলে এ যুদ্ধবিরতি হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিমান বা সামরিক যান চলাচল করবে না। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা গাজার কোনো বেসামরিক নাগরিককে আটক করতে পারবে না।

কাতারের মধ্যস্থতায় ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে বুধবার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করে ইসরায়েল। তবে চুক্তি মানে যুদ্ধ বন্ধ হবে না বলে জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে হামাস বলছে, ৫০ জিম্মির বিনিময়ে কারাবন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাদের সবাই নারী ও শিশু। সেই সাথে শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাককে রাফাহ সীমান্ত থেকে গাজায় আসতে দিতে হবে।

গাজায় জিম্মি থাকা ৫০ নারী ও শিশুকে মুক্ত করার বিনিময়ে চারদিনের যুদ্ধবিরতি চলবে। প্রতি ১০ জন অতিরিক্ত জিম্মি মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি একদিন করে বাড়ানো হবে। মার্কিন সমর্থন এবং কাতারের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক শিশুসহ তিন মার্কিন নাগরিক রয়েছে।

এ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার। বেশ কয়েক দিন ধরেই আমেরিকা, ইসরায়েল এবং হামাস একটি চুক্তি নিয়ে কথা বলে আসছিল।

এ উদ্যােগের মাধ্যমে সাত সপ্তাহের কাছাকাছি চলা একটি নৃশংস যুদ্ধের প্রথম যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। যার মাধ্যমে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘সঠিক দিকের একটি পদক্ষেপ”। ।

ইসরায়েল-হামাস চুক্তি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’: জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে এটি ‘সঠিক পথের দিকের পদক্ষেপ।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের চাহিদা দূর করার জন্য এই বিরতি সম্পূর্ণ ব্যবহার করা উচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে আরও অনেক কিছু করা দরকার।”

অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ নয় হিজবুল্লাহ। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন দক্ষিণ লেবানন বা গাজায় ইসরায়েলির যে কোনও উত্তেজনা হিজবুল্লাহ মোকাবিলা করবে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের শুরু থেকে গুলি বিনিময় হয়েছে, এতে ৭০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং কমপক্ষে ১০ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু বৃহস্পতিবার

আপডেট সময় : ০৫:৩২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

আগামীকাল শুরু হচ্ছে হামাস- ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। কাতারের মধ্যস্থতায় জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৪ দিনের এ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের সশস্ত সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো সদস্য মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় সকল অঞ্চলে এ যুদ্ধবিরতি হবে। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিমান বা সামরিক যান চলাচল করবে না। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনারা গাজার কোনো বেসামরিক নাগরিককে আটক করতে পারবে না।

কাতারের মধ্যস্থতায় ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে বুধবার গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করে ইসরায়েল। তবে চুক্তি মানে যুদ্ধ বন্ধ হবে না বলে জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে হামাস বলছে, ৫০ জিম্মির বিনিময়ে কারাবন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাদের সবাই নারী ও শিশু। সেই সাথে শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাককে রাফাহ সীমান্ত থেকে গাজায় আসতে দিতে হবে।

গাজায় জিম্মি থাকা ৫০ নারী ও শিশুকে মুক্ত করার বিনিময়ে চারদিনের যুদ্ধবিরতি চলবে। প্রতি ১০ জন অতিরিক্ত জিম্মি মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি একদিন করে বাড়ানো হবে। মার্কিন সমর্থন এবং কাতারের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের মধ্যে চার বছর বয়সী এক শিশুসহ তিন মার্কিন নাগরিক রয়েছে।

এ যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার। বেশ কয়েক দিন ধরেই আমেরিকা, ইসরায়েল এবং হামাস একটি চুক্তি নিয়ে কথা বলে আসছিল।

এ উদ্যােগের মাধ্যমে সাত সপ্তাহের কাছাকাছি চলা একটি নৃশংস যুদ্ধের প্রথম যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। যার মাধ্যমে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড এ যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘সঠিক দিকের একটি পদক্ষেপ”। ।

ইসরায়েল-হামাস চুক্তি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’: জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন যে এটি ‘সঠিক পথের দিকের পদক্ষেপ।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় ফিলিস্তিনিদের চাহিদা দূর করার জন্য এই বিরতি সম্পূর্ণ ব্যবহার করা উচিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে আরও অনেক কিছু করা দরকার।”

অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ নয় হিজবুল্লাহ। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন দক্ষিণ লেবানন বা গাজায় ইসরায়েলির যে কোনও উত্তেজনা হিজবুল্লাহ মোকাবিলা করবে।

হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের শুরু থেকে গুলি বিনিময় হয়েছে, এতে ৭০ জনেরও বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা এবং কমপক্ষে ১০ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটি।