ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকার বিরোধী দলগুলোর ওপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে: এবি পার্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মনে করে, নির্বাচনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলে, সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি, এখনও হবেনা। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবি পার্টি।

দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় একাত্তর চত্বরে এসে মিলিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। মজিবুর রহমান মন্জু তার বক্তব্যে বলেন, ‘সরকার অতীত স্বৈরাচারদের অনুসরণ ও অনুকরণে অর্থ ও আসনের বিনিময়ে বিভিন্ন দল এবং ব্যক্তিকে প্রহসনের নির্বাচনে অংশ করানোর মিশনে নেমেছে। এ মিশন অতীতে যেমন সফলতা পায়নি বর্তমানেও চরম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কারণ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি এখনও হবেনা।

তিনি আরও বলেন, সরকার একদিকে বিরোধী দলগুলোর উপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে। অন্যদিকে তাদের সাজানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত প্রহসনমূলক নির্বাচন করলে সরকার জনগণের কাছে অবৈধই থেকে যাবে কোন লাভ হবেনা। এ ধরনের একটি অপনির্বাচন করে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়া দূরের কথা বরং তা দেশকে একটি গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেবে।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুন্ডাদের দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর দায় চাপাচ্ছে। বিচারপতিদের রাত পর্যন্ত কোর্টে বসিয়ে ভুয়া মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী হিটলারের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যেভাবে হিটলার সমাজে ঘৃণিত হয়েছিল। আপনার পরিণতিও একই হবে। বাংলার জনগণ আপনাকে একজন ঘৃণিত স্বৈরাচার হিসেবেই মনে রাখবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব বিএন নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুব পার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বিচারকাজ নাসির, মহানগর উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, যুব পার্টির দফতর সম্পাদক আলী নাসের খান, যুব পার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকার বিরোধী দলগুলোর ওপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে: এবি পার্টি

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মনে করে, নির্বাচনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলে, সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি, এখনও হবেনা। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবি পার্টি।

দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল, কাকরাইল, পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় একাত্তর চত্বরে এসে মিলিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। মজিবুর রহমান মন্জু তার বক্তব্যে বলেন, ‘সরকার অতীত স্বৈরাচারদের অনুসরণ ও অনুকরণে অর্থ ও আসনের বিনিময়ে বিভিন্ন দল এবং ব্যক্তিকে প্রহসনের নির্বাচনে অংশ করানোর মিশনে নেমেছে। এ মিশন অতীতে যেমন সফলতা পায়নি বর্তমানেও চরম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কারণ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে সে নির্বাচন অতীতেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হয়নি এখনও হবেনা।

তিনি আরও বলেন, সরকার একদিকে বিরোধী দলগুলোর উপর নজিরবিহীন নিপীড়ন চালাচ্ছে। অন্যদিকে তাদের সাজানো নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত প্রহসনমূলক নির্বাচন করলে সরকার জনগণের কাছে অবৈধই থেকে যাবে কোন লাভ হবেনা। এ ধরনের একটি অপনির্বাচন করে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হওয়া দূরের কথা বরং তা দেশকে একটি গভীর অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেবে।

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগের গুন্ডাদের দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপর দায় চাপাচ্ছে। বিচারপতিদের রাত পর্যন্ত কোর্টে বসিয়ে ভুয়া মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী হিটলারের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। তাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যেভাবে হিটলার সমাজে ঘৃণিত হয়েছিল। আপনার পরিণতিও একই হবে। বাংলার জনগণ আপনাকে একজন ঘৃণিত স্বৈরাচার হিসেবেই মনে রাখবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব বিএন নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুব পার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বিচারকাজ নাসির, মহানগর উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, যুব পার্টির দফতর সম্পাদক আলী নাসের খান, যুব পার্টি মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।