ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চীনে ছড়িয়ে পড়ছে রহস্যময় নিউমোনিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখনও করোনা ভাইরাস মহামারির ধকল কাঠিয়ে উঠতে পারেনি চীন। এরমধ্যেই দেশটির স্কুলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যময় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকের সময়েরগুলোর মিল খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং ও লিয়াওনিংয়ের হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে।

জানা গেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুসের প্রদাহ এবং তীব্র জ্বরসহ অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা গেছে। তবে তাদের ফ্লু, এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের সাধারণ উপসর্গ কাশি এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো নেই।

বিশ্বব্যাপী মানুষ ও প্রাণীদের রোগ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রোমেড চীনে শিশুদের নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে।

এই সংস্থাটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগেও সতর্কতা জারি করেছিল।

এদিকে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চীনকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া নিয়েও বেইজিংয়ের কাছে তথ্য চেয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটি।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে চীনকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে।

এই রোগটিকে ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’ বলার বড় কারণ হলো— সাধারণ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জ্বরের পাশাপাশি কফ, বুকে জমাট বেঁধে থাকা কফের শব্দ এবং সেই জনিত কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।

কিন্তু এখন পর্যন্ত যেসব শিশু এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে তাদের অভিভাবকদের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছে, তাদের মধ্যে কফ কিংবা বুকে জমাটবাঁধা কফের মতো কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।

বরং যে দু’টি উপসর্গ দেখা গেছে, সেগুলো হলো— উচ্চমাত্রার জ্বর এবং এবং শ্বাসকষ্ট। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আক্রান্ত প্রত্যেক শিশুর ফুসফুসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফোসকা পরিলক্ষিত হয়েছে। জলবসন্ত রোগে মানুষের শরীরে যেমন ফোসকা ওঠে, সেসবের সঙ্গে মিল রয়েছে সেগুলোর।

এফটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিয়াওনিংয়ের দালিয়ান শহরের শিশু হাসপাতালের লবিতে রীতিমতো ভিড় শুরু হয়েছে এই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের। এছাড়া বেইজিং এবং লিওয়াওনিংয়ের ঐতিহ্যগত দেশীয় হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালেও প্রচুর সংখ্যক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।

বুধবারের বিবৃতিতে জনস্বাস্থ্য নজরদারি সংস্থা প্রোমেড বলেছে, ‘চীনের শিশুদের মধ্যে বর্তমানে যে মাত্রায় অজানা এই শ্বাসতন্ত্রের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, তাকে ব্যাপক প্রাদুর্ভাব বলা চলে। ঠিক কবে থেকে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়; তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক শিশুর এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক।’

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনে ছড়িয়ে পড়ছে রহস্যময় নিউমোনিয়া

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

এখনও করোনা ভাইরাস মহামারির ধকল কাঠিয়ে উঠতে পারেনি চীন। এরমধ্যেই দেশটির স্কুলগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যময় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের শুরুর দিকের সময়েরগুলোর মিল খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং ও লিয়াওনিংয়ের হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে।

জানা গেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুসের প্রদাহ এবং তীব্র জ্বরসহ অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা গেছে। তবে তাদের ফ্লু, এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য রোগের সাধারণ উপসর্গ কাশি এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো নেই।

বিশ্বব্যাপী মানুষ ও প্রাণীদের রোগ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রোমেড চীনে শিশুদের নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সতর্কতা জারি করেছে।

এই সংস্থাটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগেও সতর্কতা জারি করেছিল।

এদিকে বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চীনকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে শিশুদের মধ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া নিয়েও বেইজিংয়ের কাছে তথ্য চেয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটি।

এ নিয়ে এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে চীনকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে।

এই রোগটিকে ‘রহস্যময় নিউমোনিয়া’ বলার বড় কারণ হলো— সাধারণ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জ্বরের পাশাপাশি কফ, বুকে জমাট বেঁধে থাকা কফের শব্দ এবং সেই জনিত কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।

কিন্তু এখন পর্যন্ত যেসব শিশু এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে তাদের অভিভাবকদের মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছে, তাদের মধ্যে কফ কিংবা বুকে জমাটবাঁধা কফের মতো কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।

বরং যে দু’টি উপসর্গ দেখা গেছে, সেগুলো হলো— উচ্চমাত্রার জ্বর এবং এবং শ্বাসকষ্ট। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আক্রান্ত প্রত্যেক শিশুর ফুসফুসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ফোসকা পরিলক্ষিত হয়েছে। জলবসন্ত রোগে মানুষের শরীরে যেমন ফোসকা ওঠে, সেসবের সঙ্গে মিল রয়েছে সেগুলোর।

এফটিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিয়াওনিংয়ের দালিয়ান শহরের শিশু হাসপাতালের লবিতে রীতিমতো ভিড় শুরু হয়েছে এই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের। এছাড়া বেইজিং এবং লিওয়াওনিংয়ের ঐতিহ্যগত দেশীয় হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালেও প্রচুর সংখ্যক শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।

বুধবারের বিবৃতিতে জনস্বাস্থ্য নজরদারি সংস্থা প্রোমেড বলেছে, ‘চীনের শিশুদের মধ্যে বর্তমানে যে মাত্রায় অজানা এই শ্বাসতন্ত্রের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, তাকে ব্যাপক প্রাদুর্ভাব বলা চলে। ঠিক কবে থেকে এই প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়; তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এত সংখ্যক শিশুর এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক।’