০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ফের অবরোধ বিএনপির

বিএনপি সপ্তম দফার কর্মসূচি হিসেবে দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে। আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকার প্রধান বলেছেন, ‘নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি’। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবন যাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সকল অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন । গ্রেপ্তারের জন্য মহাউৎসব শুরু করেছেন আপনি। প্রাণভরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছেন আপনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার করতে আপনি এবং আপনার সরকার পছন্দ করেন। একতরফা নির্বাচনী দৌড় আপনি দেবেন। তবে বলে রাখছি, এটা বাংলাদেশ। দেশের অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কিছু কিছু দেশকে সব উজাড় করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ কর্মসচি পালন করে দলটি।

এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চারদিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর ফের অবরোধ বিএনপির

আপডেট : ০৫:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি সপ্তম দফার কর্মসূচি হিসেবে দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে। আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী বলেন, এক বিশেষ পরিস্থিতি ও দুর্যোগ দুর্বিপাকের মধ্যে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না। আর সরকার প্রতিনিয়ত ধাপ্পাবাজি করছে জনগণের সঙ্গে। সরকার প্রধান বলেছেন, ‘নির্বাচনে আসুন কার কত দৌড় আমরা দেখি’। নির্বাচনে দৌড়াবেন তো আপনি, আপনার মনের মতো করে তৈরি করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে আপনি দৌড়াবেন। জনগণ তো প্রতিযোগিতার জন্য দৌড়াতে পারবে না। কারণ জনগণকে আপনি বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রকামী মানুষ আজ বন্দি জীবন যাপন করছে। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কারাগারে দিয়েছেন। আমাদের দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছেন। মাঠ খালি করে একা দৌড়ানোর জন্য আপনি রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড দল নই। আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি সকল অন্যায়ের। আর এই অপরাধেই আপনি গ্রেপ্তার করছেন । গ্রেপ্তারের জন্য মহাউৎসব শুরু করেছেন আপনি। প্রাণভরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছেন আপনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচন, দুর্নীতি এবং টাকা পাচার করতে আপনি এবং আপনার সরকার পছন্দ করেন। একতরফা নির্বাচনী দৌড় আপনি দেবেন। তবে বলে রাখছি, এটা বাংলাদেশ। দেশের অসংখ্য মানুষের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ গঠিত হয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনি কিছু কিছু দেশকে সব উজাড় করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফা এবং ১৫ ও ১৭ নভেম্বর পঞ্চম দফায় অবরোধ কর্মসচি পালন করে দলটি।

এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় এর প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চারদিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।