তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা ষষ্ঠ দফা কর্মসূচির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশে কারা ক্ষমতায় আসবে তা নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়।তারা আলোচনা করে কারা তাদের পক্ষে কাজ করবে।দিল্লির তাবেদারি করতে পারবে এমন দলকে তারা ক্ষমতায় বসাতে চায়।
আমরা স্পষ্ট বলছি, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেই দেশ অন্য কোন দেশের তাবেদারি করবে না। এই দেশে কে ক্ষমতায় আসবে তা ঠিক করবে এই দেশের জনগণ।
আমরা দেখেছি ২০ জন সাবেক আমলা মনোনয়ন কিনেছি, তারা চাকরিতে থাকা অবস্থায় এই সরকারের বেআইনী নির্দেশ পালন করেছে। এখন শেষ বয়সে বিনা ভোটে এমপি হতে চায়। কিছু অভিনয় শিল্পী ও খেলোয়াড় তারাও আজ বিনা ভোটের এমপি হতে চায়। সরকারও ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করতে মরিয়া। আমাদের কথা স্পষ্ট, বাংলাদেশ আর নিশি রাতের ইলেকশন হতে দেওয়া হবেনা।
সরকারকে বললো, অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন। পদত্যাগের পরে সংলাপ সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করা হবে। তারাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নিবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চলছে। পত্রিকার খবরে দেখলাম, নির্বাচনের আগে আড়াই মাসে বিএনপির ৩৬২ জন নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকার বিরোদলকে নির্বাচনে আনতে এমন দমন-পীড়ন শুরু করেছে। গণঅধিকার পরিষদকে নিয়েও নানা প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে কোন পাতানো নির্বাচনে যাবোনা।
জাতীয় পার্টি এতোদিন বলে আসলো নির্বাচনের পরিবেশ নেই, সেই তারা এখন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে। নির্বাচনের যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জোট গঠিত হচ্ছে। যারাই সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচনে যাবে, তারা হবে জাতীয় মীরজাফর। সুতরাং এখনো সময় আছে, জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে আন্দোলনে নামুন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। কারণ তিনি সরকারের সাথে আপোষ করেন নি। গণঅধিকারও সরকারের সাথে কোন আপোষ করবেনা। আমাদের দাবি, সরকাদের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান করছি। আপনারা রাজপথে নামলে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
সঞ্চালনা করেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম,ফাতেমা তাসনিম, আব্দুজ জাহের, সিনি: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি: মুরাদ, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ গণমাধ্যম সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সহ- নারী বিষয়ক সম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন,সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম,দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল সহ নেতাকর্মীরা।