০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন স্বচ্ছ করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জনগণের প্রতি আস্থা নেই বলেই ভোট বানচালের চেষ্টা করছে বিএনপি। তিনি বলেন নির্বাচন স্বচ্ছ করতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে ক্ষমতা একসময় ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিল তা এখন জনগণের হাতে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন জিয়া। আন্দোলন করে, রক্ত দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল আওয়ামী লীগ।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।

তিনি এসময় বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো।

তিনি এসময় বলেন, একটি মোড়ল দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি থমকে দিতে নানা চেষ্টা করেছে, এখন অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপি আবার তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তারা মানুষের কাছে আবারো প্রমাণিত ।

শেখ হাসিনা বেলন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পর দক্ষ জনশক্তি দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশকে বদলে দিতে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার ফল পাচ্ছে দেশের মানুষ।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেখি কার কত দৌড়। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্য হলেও নির্বাচনে আসুক বিএনপি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ক্ষমতা একসময় ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলো তা জনগণের হাতে ফিরে এসেছে।’

আওয়ামী লীগই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থা করে, নির্বাচন কমিশন আইন করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী আইন করে দিয়েছে সরকার।’

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জোট করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এসে, একে একে তা বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাজেট থেকে শুরু করে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যেত। সেই জায়গা থেকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আমরা আইন করি। যেগুলো আগে করা ছিল না। আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমরা যখন জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছি ঠিক সে সময় দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আপনারা আগের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সাধারণ মানুষ কত কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা ভাড়া দিয়ে খায়। তাদের সেই রুটি রুজিতে হাত দিয়েছে তারা। সিএনজি, গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, রেল কোনোকিছু বাদ যায়নি। ট্রেন তো খালেদা বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা তো আলাদা মন্ত্রণালয় করে সারা বাংলাদেশে রেল লাইন করে দিয়েছি, মানুষ যত অল্প পয়সায় চলতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। তারপর কত মানুষের জীবন নিয়েছে। প্রায় তিন হাজারের মতো মানুষকে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা কি পেয়েছে জানি না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার মতো আত্মবিশ্বাস তাদের নেই। কারণ ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে। আর আমরা দেশ পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা ভোটে অনেক এগিয়ে। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।

দেশের মানুষ এখন সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন সুন্দর জীবন যাপন করছে। অনেকে এখন দেশে দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করছে। যারা ভূমিহীন তাদেরকে আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

নির্বাচন স্বচ্ছ করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৬:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জনগণের প্রতি আস্থা নেই বলেই ভোট বানচালের চেষ্টা করছে বিএনপি। তিনি বলেন নির্বাচন স্বচ্ছ করতে আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যে ক্ষমতা একসময় ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিল তা এখন জনগণের হাতে ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন জিয়া। আন্দোলন করে, রক্ত দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল আওয়ামী লীগ।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।

তিনি এসময় বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো।

তিনি এসময় বলেন, একটি মোড়ল দেশ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি থমকে দিতে নানা চেষ্টা করেছে, এখন অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপি আবার তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তারা মানুষের কাছে আবারো প্রমাণিত ।

শেখ হাসিনা বেলন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের পর দক্ষ জনশক্তি দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে কাজ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশকে বদলে দিতে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার ফল পাচ্ছে দেশের মানুষ।’

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দেখি কার কত দৌড়। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য করার জন্য হলেও নির্বাচনে আসুক বিএনপি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে ক্ষমতা একসময় ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিলো তা জনগণের হাতে ফিরে এসেছে।’

আওয়ামী লীগই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থা করে, নির্বাচন কমিশন আইন করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘৮২টি সংশোধনী এনে অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী আইন করে দিয়েছে সরকার।’

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই বিভিন্ন সংস্কার করেছে। যাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। জনগণ তার ভোট দিতে পারে, যাতে জনগণ তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমরাই স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা এবং জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা, সেগুলো আওয়ামী লীগই করেছে। আমরা জোট করে বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এসে, একে একে তা বাস্তবায়ন করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বাজেট থেকে শুরু করে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যেত। সেই জায়গা থেকে স্বাধীন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে আমরা আইন করি। যেগুলো আগে করা ছিল না। আইনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমরা যখন জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছি ঠিক সে সময় দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আপনারা আগের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সাধারণ মানুষ কত কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা ভাড়া দিয়ে খায়। তাদের সেই রুটি রুজিতে হাত দিয়েছে তারা। সিএনজি, গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমার, রেল কোনোকিছু বাদ যায়নি। ট্রেন তো খালেদা বন্ধ করতে চেয়েছিল, আমরা তো আলাদা মন্ত্রণালয় করে সারা বাংলাদেশে রেল লাইন করে দিয়েছি, মানুষ যত অল্প পয়সায় চলতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। তারপর কত মানুষের জীবন নিয়েছে। প্রায় তিন হাজারের মতো মানুষকে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা কি পেয়েছে জানি না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার মতো আত্মবিশ্বাস তাদের নেই। কারণ ২০০৮ নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছে। আর আমরা দেশ পরিচালনা করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। আমরা ভোটে অনেক এগিয়ে। এটা জেনেই তারা নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।

দেশের মানুষ এখন সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ এখন সুন্দর জীবন যাপন করছে। অনেকে এখন দেশে দেশে ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করছে। যারা ভূমিহীন তাদেরকে আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।