যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত ক্রসিংয়ে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় উত্তর আমেরিকার এই দেশ দুটির মধ্যে চারটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। যদিও বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বলছে না যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার মধ্যকার একটি চেকপয়েন্টে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গাড়িটির দুই যাত্রী নিহত হন এবং এর জেরে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া বড় ছুটির প্রাক্কালে ঘটা এই ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল নিউইয়র্ক সিটির ৪০০ মাইল (৬৪০ কিলোমিটার) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই চেকপয়েন্টে বিস্ফোরণে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা ‘সন্ত্রাসী’ হামলা ছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
হচুল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ নেই। এটি একটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। কিন্তু এই সময়ে এর সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসী সংযোগ জানা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণে নিহত দুজনের পরিচয় যদিও এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাদের গাড়িটি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলছিল, পরে সেটি চেকপয়েন্টের একটি ব্যারিয়ারে জোরে ধাক্কা দেয় এবং আগুনে বিস্ফোরিত হয়।
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কাছে প্রধান রেনবো ব্রিজ ক্রসিংয়ে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। বিস্ফোরিত যানটির কিছুই অবশিষ্ট নেই। হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই ঘটনার বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে এবং তিনি ঘনিষ্ঠভাবে এসব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্টতই অত্যন্ত গুরুতর একটি পরিস্থিতি।’
এপি বলেছে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর পশ্চিম নিউইয়র্ক এবং অন্টারিওর মধ্যে আরও তিনটি সেতু সতর্কতা হিসাবে দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বাফেলো-নায়াগ্রা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সমস্ত গাড়ির নিরাপত্তা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।