ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিরে যা বলছেন ফিলিস্তিনিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৩২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রথম ধাপে এই নারী ও শিশুরা ইসরায়েল থেকে গাজায় ফিরেছে।

সাঁজোয়া যানের পাহারায় দু’টি সাদা কোচে বন্দীদের ওফার সামরিক ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসার পরে পশ্চিম তীর জুড়ে জনতা উল্লাস করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা নেড়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের সাদাকালো রুমাল নেড়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা জুড়ে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সদ্য মুক্তি পাওয়া মারাহ বাকির (২৪) বলেছেন, ‘আমি খুশি কিন্তু আমার মুক্তি শহীদদের রক্তের মূল্যে এসেছে।’

আট বছর ধরে কারাগারে থাকা বাকির বলেন, ‘কারাগারের চার দেয়াল’ থেকে মুক্তি ছিল ‘বিশাল ঘটনা’।

মারাহ বাকির পূর্ব জেরুজালেমের বেইট হানিনায় তার পরিবারের বাড়িতে ফিরে আসার পর এএফপি’কে বলেন, ‘আমি আমার শৈশব এবং আমার কৈশোর কারাগারে কাটিয়েছি, আমার বাবা-মা এবং তাদের আলিঙ্গন থেকে অনেক দূরে।’

৫৮ বছর বয়সী হানান আল-বারঘৌতি ইসরায়েলি হেফাজত থেকে দুই মাস পর মুক্তি পেয়েছেন। তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার নেতা এবং গাজার জনগণের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে তাদের উত্তম প্রতিদান দিন।’ ‘যদি গাজার জনগণ না থাকত, আমরা স্বাধীনতা দেখতে পেতাম না।’

‘আমরা কারাগারের ভিতরে ছিলাম, নির্যাতন ভোগ করছিলাম। তারা ছিল স্যাডিস্ট। তারা আমাদের অপমান করেছে কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের জন্য আমারা অত্যন্ত গর্ব বোধ করেছি এবং আমাদের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে। এই প্রতিরোধের জন্য অভিনন্দন জানাই।’

ধূসর জাম্পার পরা ফিলিস্তিনি বন্দীদের দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়ায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে প্যারেড করানো হয়েছিল।এদের মধ্যে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের মুক্তির আগে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করার সাথে সাথে কারাগারের কাছে সাদা ধোঁয়ার মেঘে বাতাস ভরে যায়। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ১৩ জন জিম্মিকে ইসরায়েলের হাছে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মোট ৩৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির আনন্দ উদযাপনের আতশবাজিতে শুক্রবার রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি তারা দখলদার ইসরায়েলের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিরে যা বলছেন ফিলিস্তিনিরা

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রথম ধাপে এই নারী ও শিশুরা ইসরায়েল থেকে গাজায় ফিরেছে।

সাঁজোয়া যানের পাহারায় দু’টি সাদা কোচে বন্দীদের ওফার সামরিক ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসার পরে পশ্চিম তীর জুড়ে জনতা উল্লাস করেছে এবং তারা ফিলিস্তিনি ও হামাসের পতাকা নেড়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের সাদাকালো রুমাল নেড়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা জুড়ে প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সদ্য মুক্তি পাওয়া মারাহ বাকির (২৪) বলেছেন, ‘আমি খুশি কিন্তু আমার মুক্তি শহীদদের রক্তের মূল্যে এসেছে।’

আট বছর ধরে কারাগারে থাকা বাকির বলেন, ‘কারাগারের চার দেয়াল’ থেকে মুক্তি ছিল ‘বিশাল ঘটনা’।

মারাহ বাকির পূর্ব জেরুজালেমের বেইট হানিনায় তার পরিবারের বাড়িতে ফিরে আসার পর এএফপি’কে বলেন, ‘আমি আমার শৈশব এবং আমার কৈশোর কারাগারে কাটিয়েছি, আমার বাবা-মা এবং তাদের আলিঙ্গন থেকে অনেক দূরে।’

৫৮ বছর বয়সী হানান আল-বারঘৌতি ইসরায়েলি হেফাজত থেকে দুই মাস পর মুক্তি পেয়েছেন। তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার নেতা এবং গাজার জনগণের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে তাদের উত্তম প্রতিদান দিন।’ ‘যদি গাজার জনগণ না থাকত, আমরা স্বাধীনতা দেখতে পেতাম না।’

‘আমরা কারাগারের ভিতরে ছিলাম, নির্যাতন ভোগ করছিলাম। তারা ছিল স্যাডিস্ট। তারা আমাদের অপমান করেছে কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের জন্য আমারা অত্যন্ত গর্ব বোধ করেছি এবং আমাদের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে। এই প্রতিরোধের জন্য অভিনন্দন জানাই।’

ধূসর জাম্পার পরা ফিলিস্তিনি বন্দীদের দখলকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়ায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে প্যারেড করানো হয়েছিল।এদের মধ্যে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাদের মুক্তির আগে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করার সাথে সাথে কারাগারের কাছে সাদা ধোঁয়ার মেঘে বাতাস ভরে যায়। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ১৩ জন জিম্মিকে ইসরায়েলের হাছে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মোট ৩৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।

ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির আনন্দ উদযাপনের আতশবাজিতে শুক্রবার রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি তারা দখলদার ইসরায়েলের প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।