অবরোধ সফল করতে রিজভীর আহ্বান
- আপডেট সময় : ০৫:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে
আগামীকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে নেতাকর্মীদের দুর্জয় সাহস নিয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই আহ্বান জানান। রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হবে, চলবে টানা মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। একতরফা তফসিল বাতিলসহ সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির ডাকা এটি সপ্তম অবরোধ কর্মসূচি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, রোববার থেকে শুরু হওয়া অবরোধে বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে। এ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে আরও বিস্তৃত, বেগবান ও তেজোদীপ্ত করতে হবে। মনে রাখবেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিও আর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসন দেখতে চায় না, এদের পতন হবেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জোটসঙ্গী একটি দলের শীর্ষ নেতা এই পাতানো নির্বাচনে যেতে না চাওয়ায়, বিভিন্ন এজেন্সি দিয়ে সেই নেতাকে একটি পাঁচতারকা হোটেলে জিম্মি করা হয়। পরে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশে নেতাদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে রাতের বাহিনী। এইভাবে জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনের পথে হাঁটছে মাফিয়াচক্র। তবে তুমুল আন্দোলনে-জনজোয়ারে এই নির্বাচনী নাটক ভণ্ডুল হয়ে যাবে। জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দিবস উদযাপিত করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে এখন হাসি-তামাশা, বাণিজ্য ও প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে টার্গেট করে করে অর্থ এবং সংসদ সদস্য বানানোর প্রলোভনে কিংসপার্টি-ভুঁইফোড় পার্টিতে রাজনৈতিক নেতাদের ঢোকানো হচ্ছে। কোনো নীতিবান, আদর্শবাদী, দেশপ্রেমী রাজনীতিককে তারা নির্বাচনে নিতে পারছে না। কতিপয় ডিগবাজিমার্কা-ভ্রষ্টচারী রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নির্বাচনী রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা বানাতে কব্জা করেছে।
তিনি বলেন, এই প্রতারক মাফিয়া সরকার একদিকে বলছে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ আন্দোলনে সক্রিয় ও সাহসী নেতাদের টার্গেট করে কারাদণ্ড দিচ্ছে। নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে দুই বছরের নিচে কারো সাজা হচ্ছে না।