নাকাল মিয়ানমারের জান্তা, সহায়তা চেয়ে চীনের দ্বারস্থ
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
বিদ্রোহে নাকাল মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এরইমধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা দখলে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা সরকার। এমতাবস্থায় চীনের দ্বারস্থ হয়েছে সেনাশাসিত সরকার। দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ কয়েকজন সামরিক শীর্ষকর্তা।
দেশটির অস্তিত্বই এবার প্রশ্নের মুখে রয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের আড়াই বছরের শাসনকালে সম্ভবত এবার বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে জান্তা সরকার। সামরিক সরকার-বিরোধী সশস্ত্র গ্রুপগুলো একজোট হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের অর্ধেকাংশ নাকি এখন ওই গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ উলেখযোগ্যহারে বেড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে চীনের সাথে আলোচনা করেছে দেশটির সরকার। এদিকে, সীমান্তে চীন থেকে পণ্য বোঝাই করে আসা শতাধিক ট্রাকের একটি বহরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপরই সীমান্তে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে বিদ্রোহী সংগঠনগুলো। সা¤প্রতিক অগ্রগতিতে, বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুটসহ দেশের উত্তরে প্রায় শতাধিক সেনা ছাউনি দখল করেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করছে সরকারি সেনারা। সংঘর্ষ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ায় আরাকানের রাজধানী সিত্তওয়েতে কারফিউ জারি রেখেছে প্রশাসন।
এদিকে, চলমান এ উত্তেজনায় অক্টোবরের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ লাখ বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে চীন।
পরিস্থিতি সামলাতে চীনের দ্বারস্থ হয়েছে দেশটির সরকার। দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান শোয়েসহ কয়েক জন সামরিক শীর্ষকর্তা। তবে, বৈঠক চলাকালেই মিয়ানমারের শান রাজ্যের সীমান্তে আগুনে পুড়েছে চীন থেকে পণ্য বোঝাই করে আসা শতাধিক ট্রাকের একটি বহর। বিদ্রোহীদের হামলায় এসব ট্রাক পুড়েছে বলে অভিযোগ দেশটির সামরিক সরকারের।
এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে দেখা দিয়েছে অস্থিতিশীলতা। এরইমধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে সেনা প্রশিক্ষণ মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। সীমান্ত সিল করা এবং যুদ্ধ সক্ষমতা পরীক্ষা করাই এই সামরিক মহড়ার লক্ষ্য বলে জানিয়েছে চীনের সেনাবাহিনী।