আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের বিচার করার জন্য ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়কে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ শনিবার তিনি এসব তথ্য জানান।
মাহবুবার রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোনো অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে তার বিচার করবেন এই বিচারিক হাকিমেরা। আমরা রিকুইজিশন দিয়েছি। তারা ভোটের আগে দুদিন, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন কাজ করবেন। অর্থাৎ কাজ করবেন ৫ দিন।’
যুগ্মসচিব জানান, নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে জুডিসিয়াল অফিসার নিয়োগ হয়েছে। গত সপ্তাহে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে ওনারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘণ করা হলে বিচারিক হাকিমরা তদন্ত করতে পারবেন। তারা শুধু রিপোর্ট দিতে পারবেন। স্ব উদ্যোগে তদন্ত করতে পারবেন।
মাহবুবার রহমান বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিটি ছিল ১২২টা। এবার ৩০০ আসনে ৩০০টি কমিটি হয়েছে। আগে বিচারিক কর্মকর্তারা যারা আসতেন তারা বিচারিক অফিসও করতেন। এবার কমিশনের অনুরোধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ফুলটাইমের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। সব সময় এই কাজ করবেন। আশা করা যায়, তারা আইনানুগভাবে বিধি লঙ্ঘন হলে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ইতোমধ্যে তারা মাঠে রয়েছেন। আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার থেকে চূড়ান্তভাবে কাজ করবেন তারা।
বিচারিক হাকিমের বিষয়ে যুগ্ম সচিব বলেন, ‘বিচারিক হাকিমরা আইন অনুযায়ী অপরাধ আমলে নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট পেপার বিনষ্ট করা, ব্যালট বক্স ছিনতাই, ভোটদানে বাধা দেওয়া বা বাধ্য করা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশকে ভোটের উপযোগী না রাখা, এই সমস্ত অপরাধগুলোর সংক্ষিপ্ত বিচার করতে পারবেন।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।