দীর্ঘ ৪০ দিনের বেশি সময় পর জমে উঠেছে গাজার বাজারগুলো। উঠেছে ফলমূল, শাক-সবজি। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ভিড় করে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনেও নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে শনিবার (২৫ নভেম্বর) গাজার খান ইউনিসের বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। গাজাবাসী বলছে, দীর্ঘ সময় পর একটু প্রাণ ফিরেছে তাদের মাঝে। বোমা হামলার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে খাদ্য সামগ্রী আনা নেওয়া বন্ধ ছিল। তাই খাদ্যপণ্যের চরম সংকটও ছিল। যুদ্ধ বিরতির ফলে এখন সরবরাহ বাড়ায় শনিবার সবজির দাম কমে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
খান ইউনিসের বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আয়মান নোফায়েল নামে এক যুবক বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতিতে খুশি, এটি জনগণকে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমরা আশা করি যে জ্বালানি বাড়বে এবং গাজার আমাদের ভাইয়েরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যেতে পারবে। আমরা আশা করি যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং মানুষের দুর্ভোগ কম হবে।
হাইথাম আহমেদ নামে আরেকজন বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি যে পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা সবজি দেখতে শুরু করেছি যা আমরা যুদ্ধবিরতির আগে খুঁজে পাইনি। এমন কিছু এলাকা ছিল যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি, এখন তাদের কাছে পৌঁছানো সহজ, যাতে লোকেরা সেগুলি কিনতে সক্ষম হয়। আজ দাম আগের চেয়ে কম। আগে কোনো পণ্য ছিল না, তাই দাম বেশি ছিল, এটাই স্বাভাবিক। আজকের দাম গতকালের চেয়ে কম। যুদ্ধের দিনের তুলনায় পণ্য অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
টানা ৭ সপ্তাহ যুদ্ধের পর ইসরায়েলের ৫০ বন্দী এবং ফিলিস্তিনের ১৫০ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল সেনাবাহিনী।