ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ চার দিনের জন্য বন্ধ হয়েছে। এরই মধ্যে চলছে বন্দি বিনিময়। গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে বক্তব্য এলো গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল বন্দি বিনিময় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এটি তো মাত্র শুরু। গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে।’ খবর এনডিটিভির।

ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটুকেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধান তৈরির কাজ নবায়ন করার সময় এসেছে।’

বন্দি বিনিময়ের জেরে ২৪ পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি এবং থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের ১০ নাগরিক রয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলার সমর্থন দিয়ে আসছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে, আন্তর্জাতিক মহলের চাপে সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিতে থাকে বাইডেন। অবশেষে কাতারের মধ্যস্থতায় সেই কাঙ্খিত যুদ্ধবিরতি আসে। যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘আজ সকালে কয়েক দিন মেয়াদি এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময়ে আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবলই শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।

প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় হাজার ১৫০ জনই শিশু।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে : বাইডেন

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধ চার দিনের জন্য বন্ধ হয়েছে। এরই মধ্যে চলছে বন্দি বিনিময়। গাজা উপত্যকায় হামলা বন্ধ রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে বক্তব্য এলো গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল বন্দি বিনিময় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এটি তো মাত্র শুরু। গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রকৃত সম্ভাবনা রয়েছে।’ খবর এনডিটিভির।

ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটুকেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধান তৈরির কাজ নবায়ন করার সময় এসেছে।’

বন্দি বিনিময়ের জেরে ২৪ পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১৩ ইসরায়েলি এবং থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনের ১০ নাগরিক রয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলার সমর্থন দিয়ে আসছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে, আন্তর্জাতিক মহলের চাপে সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিতে থাকে বাইডেন। অবশেষে কাতারের মধ্যস্থতায় সেই কাঙ্খিত যুদ্ধবিরতি আসে। যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘আজ সকালে কয়েক দিন মেয়াদি এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার সময়ে আমি আমার দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এ তো কেবলই শুরু। তবে এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, তা ভালোভাবেই হয়েছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।

প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয় হাজার ১৫০ জনই শিশু।