১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তিতে নেই ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৯ ফিলিস্তিনি। তবে মুক্তি পেলেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা।

কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া ইসরায়েল-হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত ছিল, প্রথমদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি মারাহ বিকির। ২০১৫ সালে ছুরি হামলার অভিযোগে ইসরায়েলি কারাগারে ছিলেন তিনি। এই তরুণীর মা বলেন, ‘সত্যিকারের আনন্দ নেই। মুক্তির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি এটাই আমাদের সামান্য আনন্দ। আমরা এখনও খুশি হতে ভয় পাই। একই সঙ্গে গাজায় যা ঘটছে তার কারণে আমরা খুশি হতে পারছি না।’

এদিকে বিকিরের মুক্তির দিনেও জেরুজালেমে তাঁর বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চার দিনের মধ্যে শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

দখলকৃত পশ্চিমতীরের বেইতুনিয়া শহরে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে মিছিল করে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের অভিবাদন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এ মিছিলে আবার কাউকে কাউকে হামাসের পতাকা হাতে দেখা গেছে।

এ বছরের শুরুতে ইসরায়েলি পুলিশের হাতে আটক হওয়া ফিলিস্তিনি কিশোর লাইথ ওথমান (১৭) বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার কেমন লাগছে তা প্রকাশ করতে পারব না। কারাগারের ভেতরের অবস্থা খুবই কঠিন।’

৩২ বছর বয়সী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার শাহীন জানান, তাঁর মেয়েকে (৫) আটকের আগে গুলি করা হয়। কয়েক মাস পর শাহীন যখন তাঁর মেয়েকে কারাগারে দেখতে যান তখন তিনি দেখতে পান যে, তাঁর মেয়ে হুইল চেয়ারে বসে আছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছে শাহীনের মেয়েও।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এ শাহীন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার মেয়ে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছে। তবে গাজায় আমাদের ভাইদের ভয়াবহ অবস্থাকে উপেক্ষা করতে পারি না। সেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ অনুমোদন

স্বস্তিতে নেই ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি

আপডেট : ০৭:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৯ ফিলিস্তিনি। তবে মুক্তি পেলেও স্বস্তিতে নেই তাঁরা।

কাতারের মধ্যস্থতায় হওয়া ইসরায়েল-হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত ছিল, প্রথমদিন হামাস ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে।

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি মারাহ বিকির। ২০১৫ সালে ছুরি হামলার অভিযোগে ইসরায়েলি কারাগারে ছিলেন তিনি। এই তরুণীর মা বলেন, ‘সত্যিকারের আনন্দ নেই। মুক্তির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি এটাই আমাদের সামান্য আনন্দ। আমরা এখনও খুশি হতে ভয় পাই। একই সঙ্গে গাজায় যা ঘটছে তার কারণে আমরা খুশি হতে পারছি না।’

এদিকে বিকিরের মুক্তির দিনেও জেরুজালেমে তাঁর বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চার দিনের মধ্যে শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

দখলকৃত পশ্চিমতীরের বেইতুনিয়া শহরে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে মিছিল করে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের অভিবাদন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এ মিছিলে আবার কাউকে কাউকে হামাসের পতাকা হাতে দেখা গেছে।

এ বছরের শুরুতে ইসরায়েলি পুলিশের হাতে আটক হওয়া ফিলিস্তিনি কিশোর লাইথ ওথমান (১৭) বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার কেমন লাগছে তা প্রকাশ করতে পারব না। কারাগারের ভেতরের অবস্থা খুবই কঠিন।’

৩২ বছর বয়সী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার শাহীন জানান, তাঁর মেয়েকে (৫) আটকের আগে গুলি করা হয়। কয়েক মাস পর শাহীন যখন তাঁর মেয়েকে কারাগারে দেখতে যান তখন তিনি দেখতে পান যে, তাঁর মেয়ে হুইল চেয়ারে বসে আছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছে শাহীনের মেয়েও।

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এ শাহীন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমার মেয়ে বন্দিবিনিময় চুক্তিতে মুক্তি পেয়েছে। তবে গাজায় আমাদের ভাইদের ভয়াবহ অবস্থাকে উপেক্ষা করতে পারি না। সেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।’