০৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

অবরোধের প্রথম দিনে সুনামগঞ্জে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল

অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ ২৬ নভেম্বর রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক শুরু হয়েছে অবরোধ কর্মসূচি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

একই দিন রাতে বিবৃতি দিয়ে আলাদাভাবে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আজ সকাল থেকে সড়কে গণপরিবহন বেড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও। স্বাভাবিক ছিলো অফিসগামী মানুষের চলাচল। সকাল থেকেই রাজধানীর মালিবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, আসাদগেট, মহাখালী গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, বাংলামোটর ও কাওরান বাজার, রামপুরা, এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অবরোধে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

অন্যদিকে, নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে রাস্তায় দেখা গেছে পুলিশ,বিজিবি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে।

আজ (রোববার) সকাল ৭টায় রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক সড়কে এ মিছিলটি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশ নেন— ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, ধামরাই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।

এদিকে, রাজধানীর হাজারিবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটবিহীন নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তাদের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না। রোববার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল। এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণবিরোধী দাবি করে নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ গেটে (ব্যাংক গেট) তালা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ শহর বাইপাস সড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে মহানগর ছাত্রদল।

গতকাল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহসহ কারাগারে থাকা সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আমিরুল ইসলাম মনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রহসনের তফসিল ও নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।’

বিএনপির ডাকা ৭ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে সুনামগঞ্জে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম হাজীপাড়া এলাকায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজুর নেতৃত্বে সড়কে টায়ার জ্বালান তারা। আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি সড়কে চলাচলরত কয়েকটি গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। সেই সঙ্গে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতেও নানা স্লোগান দেন বিএনপি সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরের আলো ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন যুবক সড়কে এসে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে অবৈধ তফসিল মানি না, অবরোধ চলছে-চলবে, সুনামগঞ্জের মাটি মিলন ভাই-নুরুল ভাইয়ের ঘাটিসহ নানান স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা একটি ট্রাক ও বাসে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে বিজিবির টহল দল এলে তারা পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চারদিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

আপডেট : ০৬:১৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে আজ ২৬ নভেম্বর রোববার ভোর ৬টা থেকে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক শুরু হয়েছে অবরোধ কর্মসূচি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

একই দিন রাতে বিবৃতি দিয়ে আলাদাভাবে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আজ সকাল থেকে সড়কে গণপরিবহন বেড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও। স্বাভাবিক ছিলো অফিসগামী মানুষের চলাচল। সকাল থেকেই রাজধানীর মালিবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, আসাদগেট, মহাখালী গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, বাংলামোটর ও কাওরান বাজার, রামপুরা, এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অবরোধে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা গেছে।

অন্যদিকে, নাশকতা ঠেকাতে সারাদেশে রাস্তায় দেখা গেছে পুলিশ,বিজিবি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে।

আজ (রোববার) সকাল ৭টায় রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক সড়কে এ মিছিলটি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে অংশ নেন— ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, ধামরাই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।

এদিকে, রাজধানীর হাজারিবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসময় তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। রাজধানীর পুরান ঢাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভোটবিহীন নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তাদের এই নির্বাচনী মহড়া কোনো কাজে আসবে না। রোববার (২৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল। এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে গণবিরোধী দাবি করে নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ গেটে (ব্যাংক গেট) তালা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ শহর বাইপাস সড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে মহানগর ছাত্রদল।

গতকাল শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহসহ কারাগারে থাকা সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি করে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আমিরুল ইসলাম মনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রহসনের তফসিল ও নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।’

বিএনপির ডাকা ৭ম দফা অবরোধের প্রথম দিনে সুনামগঞ্জে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টার দিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পশ্চিম হাজীপাড়া এলাকায় সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজুর নেতৃত্বে সড়কে টায়ার জ্বালান তারা। আগুন জ্বালানোর পাশাপাশি সড়কে চলাচলরত কয়েকটি গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। সেই সঙ্গে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতেও নানা স্লোগান দেন বিএনপি সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরের আলো ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন যুবক সড়কে এসে হঠাৎ আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন ধরিয়ে অবৈধ তফসিল মানি না, অবরোধ চলছে-চলবে, সুনামগঞ্জের মাটি মিলন ভাই-নুরুল ভাইয়ের ঘাটিসহ নানান স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। স্লোগান দিতে দিতে তারা একটি ট্রাক ও বাসে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে বিজিবির টহল দল এলে তারা পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন এক পুলিশ সদস্য নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সমাবেশ ভন্ডুল করার প্রতিবাদে পরদিন হরতাল আহ্বান করে বিএনপি। ওইদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরের কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের আগে থেকে চলা এক দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে মোটামুটি লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। এর মধ্যে তফসিল ঘোষিত হওয়ায় প্রতিবাদে ২ দিন হরতাল পালন করা হয়। এখন নিয়মিতভাবে সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে বাকি চারদিন অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।