আইজিপিকে হটিয়ে মনোনয়ন পেলেন অতিরিক্ত ডিআইজি
- আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদের আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আব্দুল কাহার আকন্দ। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। তবে এবার এই আসনে তাঁকে টেক্কা দিয়ে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক আব্দুর কাহার আকন্দ।
আব্দুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারও চালিয়ে আসছেন।
এ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে কিশোরগঞ্জ জেলার সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন যারা:
কিশোরগঞ্জ-১ আসন: কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন। ১৯৯১ সালে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চারদলীয় জোটের মাওলানা আতাউর রহমান খান। পরবর্তীতে ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে ২০১৯ সালে ৩ জানুয়ারি সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যু হলে ঐ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসন: করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা দুই বার এ আসনে নৌকা মার্কা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ড. মিজানুল হক। এর পর থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও, মহাজোটের সমঝোতায় এ আসনে নৌকার প্রার্থী না দেওয়ার তিনবারই সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির বর্তমান মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। দীর্ঘ ১৫ বছর পর আসনটিতে নৌকা মার্কা পেল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসন: কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুষিত ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। ২০১৩ সালে এই আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় উপনির্বাচনে তাঁর বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক নৌকা প্রতীক নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এ আসনটি তাঁর দখলে। এর আগে, এই আসনে সাত বারের এমপি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসন: প্রায় ৪০ শতাংশ হাওর অধ্যুষিত নিকলী ও বাজিতপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৫ আসন। এ আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আফজাল হোসেন। এর আগে এ আসনটি ছিল টানা বিএনপির দখলে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আফজাল হোসেন।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন: মেঘনা পাড়ের দুই উপজেলা ভৈরব ও কুলিয়ারচর নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন। ২০০৯ সালে এই আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় উপনির্বাচনে তাঁর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন নৌকা প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এ আসনটি নাজমুল হাসান পাপনের হাত ধরে আওয়ামী লীগের দখলে। এর আগে, ১৯৯১ সালে এ আসনটি ছিল বিএনপির দখলে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
মোট আয়তনের অর্ধেকের বেশি হাওর অধ্যুষিত জেলা কিশোরগঞ্জ। ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ জেলায় সংসদীয় আসন ৬ টি।