০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ল দুদিন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অতিরিক্ত দু’দিনের জন্য বাড়ানোর একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১০ জন করে মোট ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে দু’দিনে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ৬০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গাজায় চলমান চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় তোড়জোড় শুরু হয়। রোববার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এ বৈঠকেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় যুদ্ধবিরতির পূর্ণাঙ্গ চুক্তির শর্তপূরণ সাপেক্ষে এর মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে একদিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এই শর্তের কথাই বলেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই ফিলিস্তিনের গাজায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে হামলা শুরু করবে ইসরায়েলি বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছে ইসরায়েল ও হামাস। চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির আজ শেষ দিন। গত তিন দিন দিনে হামাস ৩৯ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে, কারাগার থেকে ১১৭ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, সেই সঙ্গে জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। এরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা

অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ল দুদিন

আপডেট : ০৫:১৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চার দিনের যুদ্ধবিরতি আরও দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাজেদ আল-আনসারি হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অতিরিক্ত দু’দিনের জন্য বাড়ানোর একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১০ জন করে মোট ২০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে দু’দিনে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা ৬০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গাজায় চলমান চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় তোড়জোড় শুরু হয়। রোববার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এ বৈঠকেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় যুদ্ধবিরতির পূর্ণাঙ্গ চুক্তির শর্তপূরণ সাপেক্ষে এর মেয়াদ বাড়াতে রাজি হয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে একদিন করে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এই শর্তের কথাই বলেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই ফিলিস্তিনের গাজায় পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে হামলা শুরু করবে ইসরায়েলি বাহিনী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কাতারের মধ্যস্থতায় সাময়িক এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছে ইসরায়েল ও হামাস। চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির আজ শেষ দিন। গত তিন দিন দিনে হামাস ৩৯ জন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে, কারাগার থেকে ১১৭ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, সেই সঙ্গে জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে। এরপরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি।